প্রফেসর হযরত রহ. কেমন ছিলেন

মুহাম্মদ আদম আলী

প্রফেসর হযরত রহ.। যতদিন বেঁচে ছিলেন, দুনিয়া তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি। বাহাম-বেহাম। তিনি একা একাই দীর্ঘ পথ চলেছেন। শুরুতে কেউ তাঁকে চিনত না। গুরুত্বও দিত না। তিনিও এসবের পরোয়া করতেন না। পরে যখন অনেকে তাঁকে চিনে ফেলল, তখন তাঁর ব্যস্ততা বেড়ে গিয়েছিল অনেক। এত ব্যস্ততার ভীড়েও তিনি আগের মতোই থাকলেন। সবার সঙ্গে থেকেও তিনি একাই ছিলেন। এরকম একা না থাকতে পারলে অন্তরে আল্লাহর ভালোবাসা ধরে রাখা যায় না। এ ভালোবাসা এতই মূর্ত ছিল যে, জবানে তার আল্লাহর কালাম লেগেই থাকত!

মানুষের মেজাজে খটখটি থাকে। অপছন্দের কাউকে দেখলেই চোখ ভড়কে যায়। তাকাতে ইচ্ছে করে না। কথা বলা তো আগুনে ঝাঁপ দেওয়া! তিনি এসব মেজাজকে খুব ভালো করেই শায়েস্তা করতে পেরেছিলেন। শয়তান বা নফসের দখল নিতে পারেনি। তাঁর আত্মাটা সাদা ছিল। কোনো কালিমা ছিল না। তাঁর এত কুরআন-প্রেমই এর প্রমাণ। কালো অন্তরে কুরআন থাকে না!

তাঁর ব্যক্তিত্ব ছিল আকাশছোঁয়া। কথা বলতেন হিসাব করে। হিসাব করে যারা কথা বলে, তাদের কথা না শুনে উপায় থাকে না। সালেকদের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল পিতৃতুল্য। ভুল হলে ধরপাকড় করতেন। এতে সালেকরা ভীষণ অস্থির হয়ে পড়ত। অস্থিরতা কমানোর ঔষধও জানতেন তিনি। এজন্য কেউই দূরে সরে যায়নি। কুরআনের আয়াতের মর্ম তিনি ঠিকই বুঝেছিলেন। এই বুঝের সঙ্গে ছিল আমল। এমন আমলদার মানুষ আসমানী মানুষ না হয়ে পারে না!

ভালো মানুষ দান-দক্ষিণা করে। অন্যকে খাওয়াতে পছন্দ করে। তাদের অনেকে এসব কথা গোপন রাখতে পারে না। বলে বেড়ায়। প্রফেসর হযরত এসব কাজ অগোচরেই করতেন। প্রায়ই তাঁর দফতরে দেশের দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এসে হাজির হতো। তাদের চেনা যেত না। হযরতের সঙ্গে দেখা করেই আবার নাই হয়ে যেত। এরকম অনেক অপরিচিত মানুষ ছিল তাঁর। তারা ছাড়া কেউ জানে না, তিনি তাদের জন্য কী করেছেন!

এখন ঘরে ঘরে অশান্তি। শান্তি যেন আকাশের তারা হয়ে গেছে। সম্ভ্রান্ত পরিবারেও টাকার জোয়ারে শান্তি আনা যাচ্ছে না। আসলে টাকায় শান্তি আসেও না। শান্তিলাভের সংজ্ঞাই যে ভিন্ন। এই ভিন্নতার স্বাদ প্রফেসর হযরত পুরোপুরি পেয়েছিলেন। তিনি পারিবারিক অশান্তি দূর করতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়িয়েছেন। আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক করে দেওয়ার জন্য নিজের জান-মাল খরচ করেছেন। ঘরোয়া মাহফিল করতেন। সবাই যেন ‘সাকিনা’লাভে ধন্য হয়, সেই চেষ্টা করেছেন আজীবন। এ ধরা তাঁর মতো মানুষ ফের কবে পাবে, কে জানে!

ঘরোয়া মাহফিলের ব্যাপারে তার একটি শ্লোগান ছিল। হারদুই হযরত রহ.-এর অনুকরণেই তিনি বলতেন—নো ফুড, নো ড্রিংকস। হারদুই হযরত রহ. ইংরেজিতে কথাটা বলেননি; এটি প্রফেসর হযরতের সংস্করণ। সামাজিক প্রথাকে অতিক্রম করা সহজ নয়। দ্বীনী মাহফিলে যারা আসে, মানুষ তাদের আপ্যায়ন করতে পছন্দ করে। কিন্তু এ আপ্যায়নের কারণে একই ঘরে বেশি বেশি মাহফিল করা সম্ভব হয় না। আবার আপ্যায়নের ভয়ে অনেকে ঘরে মাহফিল করতেও সাহসী হয় না। এ প্রথাকে ভাঙার জন্য তিনি সারাজীবন কথাটি বলেই গেছেন। কেউ মেনে চলেছে, কেউ মানেনি। এজন্য তিনি কাউকে কঠোরভাবে পাকড়াও করেননি। তবে যারা মানতে পেরেছে, তারা ঠিকই বুঝেছে, ঘরোয়া মাহফিল করা কত সহজ এবং বরকতময়!

তার কর্মব্যস্ততার কোনো তুলনা ছিল না। মানুষের উপকারে এত বেশি দৌড়ঝাঁপ করতেন যে, বেশির ভাগ রাতই নির্ঘুম কাটিয়েছেন। এক-আধ ঘণ্টার ঘুমকে তো কেউ ঘুম বলবে না। সফর আর গাড়িতেই কেটেছে তার জীবনের বেশিরভাগ সময়। তার বিখ্যাত কথা, ‘দুনিয়া পরিশ্রমের জায়গা। কবরে গিয়ে বিশ্রাম কইরো।’

দুনিয়াতে সবাই বাড়ি-গাড়ি চায়। একটু সুখ-স্বচ্ছন্দ্যে থাকার আশা করে। এতে নিষেধও নেই। হযরত সেই ১৯৬১ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছেন। তাঁর ব্যাচের কেউ কোটিপতি না হয়ে মারা যাননি। অনেকে আমলা-মন্ত্রীও হয়েছেন। হযরত সেদিকে পা মাড়াননি। বাবার ইন্তেকালের পর তিনি যে অসহায়ত্বের মধ্যে ‘বড়’ হয়েছেন, সেটিকেই আজীবন সঙ্গী বানিয়ে নিয়েছিলেন। শুরুতে পরিস্থিতির চাপে, পরে স্বেচ্ছায়। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও মাস্টার্স কিংবা পিএইচডি করেননি। প্রমোশনও পাননি। বুয়েটে এসিসট্যান্ট প্রফেসর হিসেবে কাটিয়ে দিয়েছেন জীবনের ছাব্বিশটি বছর। আর এ সময়টিই ছিল তার স্বর্ণযুগ। দুনিয়া ত্যাগ করলে ঐশী নেয়ামতে ধন্য হওয়া যায়। তার জীবনে এ নেয়ামতের কোনো কমতি ছিল না। তবে তিনি সন্ন্যাস-জীবন যাপন করেননি। দুনিয়ার কাজে যে সময় গিয়েছে, তার চেয়ে বেশি আখেরাতের পথে খরচ করার জন্য মরিয়া হয়ে থাকতেন। পরিপূর্ণভাবে প্রফেশনালি একজন ব্যস্ত মানুষ হয়েও নিজেকে আল্লাহওয়ালাদের কাতারে নিয়ে গেছেন। তার এই সাফল্য ঈর্ষণীয়। এই সাফল্যগাঁথা লিখে শেষ করা যাবে না।

হাফেজ্জী হুযুর রহ.-কে কোথাও নেওয়ার বর্শির টোপ ছিল মক্তব-মাদরাসা। তাঁর শ্লোগান ছিল—আটষট্টি হাজার গ্রামে আটষট্টি হাজার মক্তব। প্রফেসর হযরত এ শ্লোগানকে উচ্চকিত করেছেন। এটিকে নিজের কাজ বানিয়ে নিয়েছিলেন। দেশ-বিদেশে যেখানেই মক্তব-মাদরাসা থেকে ডাক এসেছে, তিনি গিয়েছেন। মারাত্মক অসুস্থতা কিংবা দুর্গম পথ বাধা হতে পারেনি। শেষ দিকে গাড়িতে শুয়ে শুয়ে সফর করতেন। অন্যরা দেখে বলত, ‘এ তো শারিরীক সক্ষমতা নয়, আত্মিক শক্তি।’ এ শক্তিতে কী প্রচণ্ডভাবেই না তিনি বলীয়ান ছিলেন!

পাকিস্তান আমলে এদেশে খুব দাপটের সঙ্গে ব্যবসা করেছে ইংলিশ ইলেকট্রিক কোম্পানি। এ কোম্পানিতে যারা চাকুরি করত, তারা খুব হাই-ফাই জীবনযাপন করত। চলন-বলনও ছিল খুব ডাটের। প্রফেসর হযরত এখানে ছয় বছর চাকুরি করেছেন (১৯৬৩-১৯৬৯)। কোম্পানি থেকে সেই আমলে গাড়ি পেয়েছিলেন। আনলিমিটেড ফুয়েল বরাদ্দ ছিল তাঁর এই গাড়ির জন্য। এসময় তিনি একজন আল্লাহওয়ালার সান্নিধ্য লাভ করেন। এই আল্লাহওয়ালার কোনো নাম-ডাক ছিল না। কোনো সভা-সমাবেশে তাকে ডাকা হতো না। তার নাম মাওলানা আব্দুল্লাহ রহ.। তিনি শাইখুল হাদীস মাওলানা আজীজুল হক সাহেবের ক্লাসমেট ছিলেন। একজন ছিলেন সূর্য, আরেকজন অমাবস্যার চাঁদ। মাওলানা আব্দুল্লাহ রহ.-এর সান্নিধ্য তার মধ্যে যুহদের গুণকে আরও শক্তিশালী করে তোলে। তার সান্নিধ্যে আসার এক বছরের মধ্যেই প্রফেসর হযরত একটি বিশেষ কারণে কোম্পানির চাকুরী ছেড়ে দেন। কারণটা খুব সিম্পল। তিনি মার্কেটিং-এ ছিলেন। এজন্য তাকে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের কাছে যেতে হতো। কোম্পানি থেকে এসব ক্লায়েন্টদের গিফট-এর সুরুতে ঘুস দিতে বলা হলো। প্রফেসর হযরত রাজি হলেন না। বিশাল বেতনের চাকুরি ছেড়ে বুয়েটে জয়েন করেন। দ্বীনের কারণে দুনিয়া ত্যাগের নমুনা তিনি দেখিয়ে গিয়েছেন। এ কারণে তাঁর মধ্যে এক ব্যতিক্রম ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটেছে যা আজ বিরল।

পিতৃপুরুষগণ জৈনপুর সিলসিলাভুক্ত ছিলেন। হযরত সেদিকে যাননি। হাকীমুল উম্মত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রহ.-এর মাওয়ায়েয তার চিন্তাভাবনাকে থানভী সিলসিলার দিকে ধাবিত করে। প্রফেসর হযরত হাফেজ্জী হুযুর রহ.-এর প্রসিদ্ধ খলীফা মাওলানা আলতাফ হোসেন রহ.-এর নিকট সর্বপ্রথম বাইআতের বিষয়ে আলোচনা করেন। কারও নিকট বাইআত হওয়ার আগ্রহ ব্যক্ত করেন। মাওলানা আলতাফ হোসেন রহ. দেরি না করে তখনই তাকে হাফেজ্জী হুযুর রহ.-এর নিকট নিয়ে যান এবং বাইআত করিয়ে দেন। তারপরই হযরতের জীবনে নতুন রং ধরে। আল্লাহর রঙে রঙিন হওয়ার যে স্বপ্ন, তার বাস্তবায়ন শুরু হয়।

বাইআত শেষে হাফেজ্জী হুযুর রহ. হযরতকে বলেন, ‘চোখের গুনাহ থেকে বাঁচেন।’ এই কথা হযরতের মনে ঢেউ তুলল। এতদিন জানা ছিল, আমল ছিল না। বাড়িতে গিয়েই আমল শুরু করলেন। বাসায় যারা গাইরে মাহরাম ছিলেন, তাদের সাফ জানিয়ে দিলেন—এখন থেকে পর্দা করতে হবে। সেই শুরু। এরপর আর পেছন ফিরেননি। পরে বলেছেন, ‘তাবলীগ জামাতের মুরব্বীদের কাছে এ কথা আমি অনেক শুনেছি। কিন্তু আমলের তাওফীক হয়নি। হাফেজ্জী হুযুর রহ. বলার পর থেকে আল্লাহ আমলের সুযোগ করে দিয়েছেন।’ আমৃত্যু তিনি এই চোখের গুনাহ থেকে নিজেকে দূরে রেখেছেন। বড় বড় মাশায়েখগণ বলেন, ‘এই যামানায় যারা চোখের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে পারবে, সে নিশ্চিত আল্লাহর ওলী হয়ে যাবে।’ এ কথার প্রমাণ হযরত রেখে গিয়েছেন।

সফরেই তার আখলাকের বেশি প্রকাশ ঘটত। হজের সফরে বেশি। মানুষ বলত, ‘প্রফেসর হযরতের সঙ্গে হজ করা মানে মায়ের কোলে বসে হজ করা!’ এ যামানায় কে কবে কার জন্য এমন ভাষা ব্যবহার করেছে! অন্যান্য সফরেও একই অবস্থা হতো। তিনি সফর-সঙ্গীদের খুব দেখভাল করতেন। তাদের প্রয়োজনের দিকে খেয়াল রাখতেন। খাওয়া বা ঘুমানোর সময় সবার ব্যবস্থা নিশ্চিত হলে নিজের দিকে নযর দিতেন। তাঁকে এড়িয়ে কিছু করা সম্ভব হতো না।

তিনি হাফেজ্জী হুযুর রহ. এবং হারদুই হযরত রহ.-এর খলীফা ছিলেন। আধ্যাত্মিকতায়ও তিনি ছিলেন এক সমুজ্জ্বল ব্যক্তি। তাসাওউফে যেসব মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকতে বলা হয় এবং যেসব সদ্‌গুণাবলি ধারণ করতে বলা হয়, তিনি এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ছিলেন। তিনি বলতেন, ‘আমার কোনো খানকা নেই। আমি যখন যেখানে থাকি, সেটিই আমার খানকা।’ এজন্য সফরসঙ্গীরা তার সোহবতে বেশি উপকৃত হতে পারত। তিনি সঙ্গীদের আচার-আচরণ খুব যত্নসহকারে খেয়াল করতেন। তাদের কুরআন পড়ার অবস্থা জানার চেষ্টা করতেন। যাদের সহীহ নেই, অনেক সময় তাদের সঙ্গে সঙ্গে শেখানো শুরু করতেন। তিনি ছিলেন মোবাইল শিক্ষক। কাউকে কিছু শেখানোর ইচ্ছা হলে নিজেই খাতা-কলম কিনে আনতেন। যে নাহু-সরফের কিছুই জানে না, তাকেও আরবি ক্রিয়াপদের সবক দিতেন। কিছু আয়াত নিয়ে আলোচনা করতেন। তিনি দেখাতে চেষ্টা করতেন, একটুখানি চেষ্টা করা হলেই কুরআনের সঙ্গে কীভাবে আরও গভীরভাবে পরিচিত হওয়া যায়।

হযরত খুব বেশি কুরআন পড়তেন এবং তিলাওয়াত শুনতেন। নতুন কোনো হাফেজ তার সোহবতে এলে তটস্থ থাকত। কি জানি কোন সূরা থেকে পড়তে বলেন! কুরআনের এই চর্চা, সহজবোধ্য ভাষায় কুরআনের তরজমা শেখানোর আকুতি এবং তিলাওয়াত শুদ্ধ করার আপ্রাণ প্রচেষ্টার জন্যই তিনি যুগ যুগ ধরে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তার কীর্তি যারা অনুসরণ করবে, নিঃসন্দেহে তারাও দামি হয়ে উঠবেন।

এখন অনেক পীর-বুযুর্গদের হাদিয়া-তোহফা নেওয়া বা এর পদ্ধতি দেখে লোকজন ভীতশ্রদ্ধ হয়ে ওঠে। প্রফেসর হযরত হাদিয়া-তোহফা নিতেন। তবে এতে কিছু মূলনীতি অনুসরণ করতেন। তিনি প্রকাশ্যে কখনো হাদিয়া নিতেন না। প্রথম সাক্ষাতেও কারও নিকট থেকে হাদিয়া গ্রহণ করতেন না। দ্বীনি মাহফিল শেষে আয়োজকদের নিকট থেকেও কখনো হাদিয়া গ্রহণ করেননি। বরং তিনি নিজ খরচেই বেশিরভাগ ঘরোয়া মাহফিল করে গিয়েছেন। সেটা ঢাকায় হোক, কিংবা অন্য কোনো জেলায়। তার এই কঠোর নীতির কারণে মাহফিল শেষে কেউ তাঁকে হাদিয়া দিতে সাহসও করেনি। ইবাদত ও দুনিয়াদারির মধ্যে এত সুচিন্তিত পার্থক্য কে কবে দেখেছে!

আধুনিক পৃথিবীতে আত্মীয়তা রক্ষা ও মেহমানদারিতে তাঁর মতো ব্যক্তিত্ব খুব কমই দেখা যায়। দ্বীনদারি না থাকায় আত্মীয়দের যতই করা হোক, তারা সহজে শোকর করে না; বরং বিরুদ্ধাচরণ করে, অপমান-অপদস্থও করে। প্রফেসর হযরত আত্মীয়দের নিকট থেকে কোনো প্রতিদান আশা করতেন না। তিনি সারাজীবন তাদের জন্য করেই গিয়েছেন। নিজে না খেয়ে তাদের খাইয়েছেন; ধারকর্য করে হলেও তাদের সেবা করেছেন। বুয়েটে চাকুরির সময় ঢাকায় তার বাসায় আত্মীয়দের ভীড় লেগেইে থাকত। এমনকি অনেক সময় রাতে ঘুমানোর জায়গা থাকত না। তিনি কত রাত যে রান্না ঘরে পিড়িতে মাথা রেখে ঘুমিয়েছেন, তাঁর হিসাব নেই। এভাবে নিঃস্বার্থ মানবিকবোধ যার রন্ধ্রে রন্ধ্রে আসন গেড়েছিল, তিনি সাহাবী যুগের মানুষ হবেন, এটা কিছুতেই অত্যুক্তি হতে পারে না! এজন্যই অনেক বিদেশি মেহমান তার সাক্ষাতে এসে বলেছেন, ‘সাহাবীদের এক নমুনা দেখেছি!’

এক জীবনে তিনি কত যে কাজ করে গিয়েছেন, তা বলে শেষ করা যাবে না। তাঁর বর্ণাঢ্য জীবনের আলোচনা হতেই থাকবে। আল্লাহ তাঁর সব কাজকে কবুল করেন। তাঁর কবরকে জান্নাতের টুকরা বানিয়ে দেন। তাঁর ফয়েয ও বরকতকে কিয়ামত পর্যন্ত চালু রাখেন।

বিজ্ঞাপন

Subscribe
Notify of
guest
1 Comment
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Hossain Ahmad
Hossain Ahmad
1 year ago

amin

স্বত্ব © ২০২৩, যোগাযোগ | ই মেইল : jogajogbd.org@gmail.com

যোগাযোগ-এ প্রকাশিত কোনো লেখা, ছবি কিংবা শিল্পকর্ম লেখক অথবা কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা অবৈধ৷