ষান্মাসিক বাহাছ
প্রথম সংখ্যা, ডিসেম্বর ২০২৩
সম্পাদক : জোবাইরুল হাসান আরিফ
বাহাছ হয়তো আলাপের বর্ধিত অংশ কিংবা হতে পারে এর খণ্ডিত অংশ। আলাপ বাহাছে রুপ নেয় বোধহয় সময়ের প্রয়োজনে। তর্ক, যা কিনা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বলা হয় বিতর্ক, বিশেষ তর্ক হিসেবে যা একটু নিজের ঝুলিতে বাড়তি সম্মান আদায় করে নিয়েছে এমন কিছুর মধ্যে মনে হয় বাহাছের অবস্থান। বাহাছ আমার দৃষ্টিতে নিজেদের দেখার চোখ, বিশ্লেষণের ক্ষমতা ও নিজের বক্তব্য প্রদান করার সীমাবদ্ধতা ভাঙার একটা প্লাটফরম হিসেবে উপস্থিত। আমার মতে চিন্তাচর্চার জগতে এটা একটা জরুরি খবর। কারণ চিন্তাজগতের একটা সীমাবদ্ধতা আমাদের চোখে পড়ে হরহামেশাই। তা হলো মূলত যোগাযোগের সমস্যা। এই সমস্যা থেকেই বস্তুত ওই অভিযোগটা আসে যে মানুষ এখন কম চিন্তা করে বা আরো সোজাসাপটা বললে বলতে হয় মানুষ এখন ইতিহাস, রাজনীতি ও সমাজ সচেতন না। এই অসচেতনতা কেন আসলে? উত্তর মোটামুটি বলে দেওয়া যায় এইভাবে যে, চিন্তাভাবনার জগৎ এখন এতোটাই অ্যাকাডেমিক আবরণে বদ্ধ হয়ে গেছে যে এখানে বাইরের কেউ খুব সহজে বা সহজ মনে প্রবেশ করতে পারে না। এই দুরত্বে কমাতে বাহাছ অবদান রাখতে পারে। কারণ যতোই অ্যাকাডেমিক আবরণে ব্যপারগুলোকে ইস্পাত সমান কঠিন করা হোক না কেন আমাদের স্বীকার করা উচিত এই সাধারণ মানুষই আসলে আমাদের চিন্তাভাবনার জগতের মূল উপাদান। তাদের আলাপ না শুনে বা বলা যায়, তাদের বাহাছ না শুনে আগানোটা হবে অপরিপক্ব পরিকল্পনার অংশ। আবার মানুষ যাতে প্রয়োজনীয় বাহাছ করতে উদ্বুদ্ধ হয় এটাও দেখা জরুরি। এই কারণে বাহাছ ষান্মাসিক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে আছে আমার দৃষ্টিতে। এখন আসা যায় এটা পড়ার পরের প্রতিক্রিয়া অংশে।
তার সূত্র ধরে বলি এসব তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া। পৃষ্ঠা দেখে পড়া হয় নাই। সূচিপত্রের যে বিষয় আগে আগ্রহ তৈরি করেছে সে অনুযায়ী পড়া হয়েছে, লেখাও হয়েছে পড়ার অনুকরণে। বাহাছ এর কলেবর আরো বেশি হলে ভালো লাগত। ভালো জিনিস বেশি হওয়া উচিত।
ইবনে শামসের প্রচ্ছদ আর আর্টওয়ার্ক ভালো অনেক। বারবার নজরে আসে। আর্ট বোঝার জিনিস থেকে অনুভবের জিনিস বেশি বোধহয়। দেখে থাকতেও ভালো লাগে। ভালো লাগাটা হলো এই যে প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে মনে ক্রমশ, সেই ব্যাপারটা।
শেষ অবধি লেখাটা ষান্মাসিক এর লেখাগুলোর সামারি টাইপ হয়েছে বলে মনে হতে পারে। তবে ওরকম কিছু ভেবে লিখি নাই। শুধু আলোকপাত করা যা প্রথম পাঠে ব্যক্তিগতভাবে চোখে পড়েছে। ভালো কথা সম্পাদক নিজের গুরুত্বপূর্ণ মতামত দিয়েছেন প্রত্যেকটা লেখারই। এটা আরো ভালো লাগবে যেকোনো পাঠকের।
বাহাছ এর আয়োজনে সবার আগে দৃষ্টি আকর্ষণ করল জিজেকের দুনিয়ায়। কারণটা সহজ। পিটারসনের সাথে ডিবেটের চুম্বক অংশ নজরে আশার পরে জনাবের প্রতি তৈরি হওয়া আগ্রহ আর তার সূত্র ধরে লাকা, হেগেল, মার্ক্স নিয়ে তার আলাপ। টার্ম বা কারো পরিচয় হিসেবে ধরলে লিবারেলিজম, পোস্ট-মর্ডানিজম, ক্যাপিটালিজম ইত্যাদি বিষয়ক তার ভাবনা আর লেখা জানার খুঁটিনাটি চেষ্টা। বলাবাহুল্য নিজের বুঝতে পারার ক্ষমতার যে সীমাবদ্ধতা তা অতিক্রম করা হয় নাই অধিকাংশ সময়। এই লেখা পড়ার সময়ও একই হাল। বিশেষ করে জিজেকের হেগেল আর মার্ক্স বিষয়ক ভাবনার আলাপে। লাকা নিয়ে জিজেকের বুঝ তা-ও কিছুটা বুঝতে পারছি আগে লাকা নিয়ে কিছু পড়া আর শোনা হয়েছে এই জন্য। এই লেখা বাংলা লেখার পাঠককে জিজেককে তার মিডিয়া ইমেজ ‘থাগ লাইফ দার্শনিক’ ‘জোক্স বলা দার্শনিক’ এসবের বাইরে একজন লেখক আর পাঠক হিসেবে এই বঙ্গদেশের পাঠক আর শ্রোতার সামনে উপস্থিত করবে। এটাই সবচেয়ে ভালো বিষয়। আর এমন লেখা ব্যক্তিগতভাবে আমাকে আমার সীমাবদ্ধতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
ইংরেজি বিভাগ নিয়ে লেখাটার গুরুত্ব আছে অনেক। বিশেষ করে ভাষা যেভাবে আমাদের চিন্তায় কাজ করে তার ভিত্তিতে৷ দেখেন, বাংলাকে ভাষা হিসেবে আবেগ দিয়ে অতিরঞ্জিত করে আর ইংরেজিকে শুধুই একটা হাই ক্লাস তৈরির ইমেজ দেওয়ার মাধ্যমে আমরা কী যে ক্ষতি করছি হয়তো বলার দরকার নাই আর। সমস্যা হলো বোধহয় ইংরেজি যেভাবে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে চালু হইল। ভাষা যেখানে জ্ঞানের মধ্যে একটা মানুষের বেঁচে থাকার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হওয়ার কথা তা না হয়ে আমাদের দেশে ইংরেজি আসল উপনিবেশিক শক্তির সাংস্কৃতিক আর রাজনৈতিক আগ্রাসন হিসেবে। ইংরেজি বিভাগের সংস্কার করা এজন্যই জরুরি বোধহয়। এই সংস্কার এমনভাবে করা উচিত যাতে ইংরেজি জ্ঞান আর যোগাযোগ বিকাশের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হয়; কোনো রেসিস্ট মানসিকতা তৈরির হাতিয়ার হিসেবে যাতে ব্যবহার না হয়। লেখকের সাফল্য এখানেই তিনি ব্যাপারটা পাঠককে উপলব্ধি করাতে পারছেন।
“হুসার্লের ফেনোমেনোলজি ও ইউরোপের সংকট” লেখাটায় আমরা ইউরোপের রেনেসাঁ-পরবর্তী যে বিচ্ছিন্নতা আর বিজ্ঞানের নামে যেকোনো কিছুকে অস্বীকার করার যে প্রবণতা তার খারাপ রূপ এবং তার থেকে পরিত্রাণের উপায় দেখতে পাই। রেনেসাঁ-পরবর্তী ইউরোপের ধারণা হয় যে বিজ্ঞান দিয়ে সকল কিছুকে মাপা যায় একই নিক্তিতে এবং এই কারণে আগের যে সকল ধ্যানধারণা তা এক নিমিষেই নাকচ করে দেওয়া যায়। ভাবখানা এমন যে বিজ্ঞান দিয়ে প্রকৃতির উপর এখন থেকে চলবে প্রভুত্ব। এই যে রেনেসাঁ-পরবর্তী শ্রেষ্ঠত্বের ধারণা ক্রমাগত ইউরোপকে একটা সংঘাতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে এটা বোধহয় হুসার্ল টের পান। বিজ্ঞানীদের প্রতি হুসার্লের আহ্বান তাই আধ্যাত্ম্যবাদ গ্রহণের। তা যে গ্রহণ করা হয়নি বিশ্বযুদ্ধই তার প্রমাণ।
“বিউপনিবেশিত দেশে পুঁজিবাদী উন্নয়নের পুনর্বিবেচনা” সবচেয়ে বড় লেখা আর গুরত্বপূর্ণ যথেষ্ট; আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা যে ব্যবস্থার উপর দাঁড়িয়ে আছে তার ঐতিহাসিক আর সমকালীন বাস্তবতার নিরিখে। কল্যাণ স্যানালের লেখা আর বলা কথার উপরই প্রায় পুরো লেখাটা অবস্থিত৷ পুঁজিবাদ, প্রাক-পুঁজিবাদ, মার্ক্স, ব্রেনার গ্রামসি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর এসবের সাথে সম্পর্কিত তত্ত্ব সবকিছু নিয়ে আলোচনার উদ্দেশ্য একটাই আমাদের এই বিউপনিবেশিত অঞ্চলে পুঁজির বিকাশ, পুঁজির কাজ করার পদ্ধতি এবং তা সবাইকে প্রভাবিত করে, যেমনটা আশা করা হচ্ছিল তা করতে পারছে নাকি পারবে না তার একটা সামারি করা। এখানে কল্যাণ স্যানালের লেখা যেভাবে একটা সমাধানের দিকে চলেছে এটা লক্ষণীয় সবচেয়ে বেশি। কল্যাণ স্যান্যালের কথা ছোট গণ্ডিতে ভালোভাবেই তুলে ধরেছেন লেখক এটা বলতেই হবে।
বাংলা সাহিত্যের অন্ধকার যুগ বলে একটা কথা আছে। প্রায় ১৩ শ বছর একটা ভাষার সাহিত্যের বয়স। এর মধ্যে উঠানামা ভালো খারাপ থাকবেই। এটাকে চিহ্নিত করার কাজ অবশ্যই জরুরি। তবে চিহ্নিত করার সময় যদি “বিদ্বেষ” আর রাজনীতির প্রজেক্ট প্রাধান্য পায় তবে তো চিন্তার বিষয়। সত্যি না জেনে বা সত্য জেনেও তা লুকিয়ে রেখে যখন মিথ্যাটা সত্যের মতো করে একটা জনগোষ্ঠী বা ধর্মের লোকদের উপর চাপানো হয় তখনই বোধহয় কপটতা তার চূড়ান্ত রং দেখায়। মধ্যযুগীয় বর্বরতা, অন্ধকার যুগ এসবকে যেভাবে আমাদের সামনে উপস্থাপন করা হয় তা পড়ে আর দেখে বোধহয় বলে দেওয়া যায় তারা নিজেরাও ভুল উপায়ে চিহ্নিত করেছেন আর তাদের সেই বিরক্তিকর কাজ আমাদেরও গিলাচ্ছেন যুগ যুগ ধরে। এর কাউন্টার লেখা দরকার আরো অনেক। এসবের মধ্যে এখনকার ফেসবুকীয় আলাপ যা ঝড় তোলে মাঝেমধ্যে তার বীজ লুকিয়ে আছে। কে কীভাবে ভাষা, সাহিত্য এসব নিয়ে নিজেদের চাহিদামতো রাজনৈতিক প্রজেক্ট জারি রাখেন তা-ও দেখতে পাওয়া যায়।
ক্রিমিনোলজি পশ্চাৎপদ জনপদের জন্য কীরূপে আরো বেশি প্রাসঙ্গিক করে তোলা যায় তার জন্য একটা উপযুক্ত লেখা। পশ্চিমা দর্শন বা জীবনযাপনের উপর ভিত্তি করে আমরা যদি পৃথিবীর সকল প্রান্তের মানুষের অপরাধ করার কারণ খুঁজতে যাই তবে কী কী সমস্যা হবে তা বুঝতে পারা যায়। ক্রিমিনোলজি ব্যবহার করে কীভাবে অপরাধীর মাথার ভেতর আসে অপরাধ করার চিন্তা, কোন পরিস্থিতি বা পরিবেশে গড়ে উঠে তা জানতে পারা জরুরি হয়ে উঠছে। অপরাধ যেখানে স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে সেখানের জন্য তো আরো জরুরি এসব। তবে ভিন্ন পরিবেশ বা পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে অবশ্যই। আমাদের পরিস্থিতি বা পরিবেশে যে অপরাধীরা পশ্চিমের অনুকরণে বেড়ে ওঠে না সেটাই সবচেয়ে বড় বিষয় বোঝার।
“কানাফানির রচনায় ইহুদিবাদী সাহিত্যের তত্ত্বতালাশ” একটা ভালো লেখা হইছে। যেভাবে সাহিত্যর মধ্যে বাসনা লুকায় থাকে রাজনৈতিক প্রকল্পের তা দেখা যায়। সাম্প্রতিক ঘটনায় যাদের মন খারাপ তারা এর ইতিহাস আর সাংস্কৃতিক ব্যপারটা দেখতে পাবেন লেখায়। কীভাবে সাহিত্য তুলে আনে একটা জনগোষ্ঠীর আর তার সহচরদের মনোবাসনা তার একটা চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়। রিয়েল পিকচার লুকিয়ে আছে যেখানে তার ভেতরটা দেখতে পাবেন তার “সাহিত্যে”। একটা কথা বলি, ইহুদীবাদী সাহিত্য নিজের বাসনা প্রকাশে উদার।
সাংস্কৃতিক আধিপত্য বিষয়টা কেমন আসলে। যদি একাত্তর এবং সাতচল্লিশের উপর ভিত্তি করে বলা যায়। সাম্প্রদায়িকতা, মুক্তিযুদ্ধ, দেশভাগ, বিহারি, বাঙালি পাঞ্জাবি। এই কয়েকটা টার্ম ব্যবহার করে বলে দেওয়া যায় বোধহয়। সবকিছুর উপর আধিপত্য বিস্তারের ধারণা। এর জন্য আমরা হয়েছি বিভক্ত আর বিচ্ছিন্ন। মানবিক উন্নয়ন গিয়েছে থেমে। ক্রমশ কিছু মানুষকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে এই আধিপত্যের সংস্কৃতি।
“সাংস্কৃতিক আধিপত্যের প্রশ্নে সাতচল্লিশ এবং একাত্তর” এই লেখায় দেখতে পাওয়া যায় আধিপত্যের পরিনাম। যা উপলব্ধির বিষয় সবচেয়ে বেশি।
“জেনারেশন এম-এর উদ্ভাবন : উম্মাহ ও নিও লিবারেলিজম” – মূল : আলী হারফাউচ। অনুবাদ করেছেন রাগিব হাসান ফাহিম। অনুবাদ ভালো লেগেছে। অনেকসময় মূল লেখক কী বলতে চেয়েছেন বা কী বোঝাতে চেয়েছেন তা পাঠকের কাছে পৌছায় না অনুবাদের কারণে। এই অনুবাদে ঘটেনি এটা। অনুবাদক ভালোই পারদর্শিতা দেখিয়েছেন।
নিওলিবারেলিজম কীভাবে তার বিস্তার ঘটিয়ে আপনার ধর্ম যা আদর্শের জোগান দেয় তাকে বন্দি করে তার একটা নমুনা পাবেন। একটা সময় দেখা যায় টাকা একদম খোদা হয়ে উপস্থিত বাস্তব জীবনে। রেমার্কের একটা উপন্যাসে একটা লাইন ছিলো এমন “টাকা পৃথিবীর দ্বিতীয় ঈশ্বর”। এই নতুন ঈশ্বরকে আদর্শিকভাবে বা বলা যায় পদ্ধতিগতভাবে সাহায্য করে নিওলিবারেলিজম। নতুন ব্যবস্থা নতুন আদর্শ শুধু প্রফিট খোঁজে। আর এই প্রফিট খোঁজার অভিযানে উম্মাহ পরিণত হয় তার প্রোডাক্টে। এটা আলোচিত বিষয় এখানে।
‘নভেল হইতেছে দুনিয়া বুঝার থার্ড ওয়ে’ কুন্ডেরা নিয়ে লেখাটার শেষ লাইন। লেখক কুন্ডেরার উপন্যাসের চরিত্রগুলো কোন অবস্থায় জীবন যাপন করছেন, সেই পরিস্থিতি কীভাবে চরিত্রের মনোজগৎ গঠনে সহায়তা করেছে তার একটা চিহ্ন একেছেন। সেই হিসেবে শেষ লাইনের তাৎপর্য অনেক। পরিবেশ কীভাবে মানুষ গঠন করে তাও দেখতে পাওয়া যায়।
একদম শেষের লেখাটা সিনেমা বিষয়ক। পড়ার সময় কিছুটা অবাক লাগে শেক্সপিয়র এর হ্যামলেট, ওথেলো, ম্যাকবেথের প্রেক্ষাপটে উপমহাদেশের বলিউডে তিনটা সিনেমা হয়েছে মকবুল, ওমকারা, হায়দার এটা জেনে! বিশাল ভরদ্বাজ কাজ ভালোই করেছেন বলা যায়। উপমহাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক বা স্থানীয় বাস্তবতায় শেক্সপিয়ারের লেখা পর্দায় পোট্রে করা যথেষ্ট কঠিন কাজ। পরিচালকের ক্রমশ সফলভাবে লেখক হয়ে ওঠা তা আমার মতো কম সিনেমা দেখা মানুষকেও প্রলুব্ধ করে সিনেমাগুলো দেখার জন্য।
শেষ অবধি বাহাছ এর জন্য শুভকামনা রইল।
অনবদ্য আলোচনা।।