লেখকের সার্থকতা আসলে কোথায়? বেশি পরিমাণ মানোত্তীর্ণ লেখা লিখতে পারায়? নাকি নিজের চিন্তার ছাপ বেশি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারায়? এদেশের ইসলামি অঙ্গনে যে কয়জন লেখক তাদের চিন্তার স্পষ্ট ছাপ ফেলতে সমর্থ হয়েছেন তাদের একজন মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ। শুধু লেখক হিসেবে নয়, নানামাত্রিক কাজ নিয়ে তিনি উপস্থিত আমাদের মাঝে। স্বতন্ত্র একটি নেসাবের প্রবর্তক, বাংলা গদ্যে নতুন একটি ধারার সৃষ্টিকারী, লেখালেখির চর্চাকে কওমি অঙ্গনের হৃদপিণ্ড পর্যন্ত পৌঁছে দেয়ার কারিগর, তরবিয়ত ও আদব আখলাকে আদর্শ মানুষ গড়ার নিপুণ শিল্পী; ঠিক কোন পরিচয়টা তার প্রধান হয়ে উঠতে পারে তা রীতিমতো সময় নিয়ে ভাববার বিষয়। আমরা এখানে তার লেখালেখি নিয়েই কথা বলার চেষ্টা করব। তবে তার লেখালেখিরও স্বতন্ত্র কয়েকটি দিক আছে। পাঠ্যপুস্তক রচনা তার লেখালেখির বড় একটি জায়গা দখল করে আছে। আমরা যতদূর জানি, অনুবাদের মাধ্যমেই তার লেখালেখিতে আসা। তার অনুবাদও পাঠককে দারুণভাবে আকর্ষিত করে। মৌলিক সাহিত্য গদ্যও লিখেছেন বেশ কিছু। তাঁর ভ্রমণকাহিনিগুলো বিশেষ সমাদর পাওয়ার দাবিদার। আর তার লেখালেখির বড় সফলতা হলো, তিনি এদেশের কওমি তরুণদের বিশাল একটা অংশের মধ্যে সাহিত্য চর্চার আগ্রহ উস্কে দিতে পেরেছেন। তার অনুপ্রেরণা ও দেখানো পথে অনেক তরুণ লেখক হয়ে উঠেছেন। উৎকৃষ্ট মানের সাহিত্য রচনার দৌড়ে তিনি কতদূর এগিয়ে আছেন এসব তর্ক এড়িয়ে গিয়ে সোজা কথায় বলা যায়, তিনি একজন সৃজনশীল লেখক। বাংলা ভাষায় তার পাঠক সংখ্যা বিরাট একটা জায়গা দখল করে আছে।
মৌলিক গদ্যের ক্ষেত্রে বলতে গেলে তার বই সাকুল্যে চারটি : বাইতুল্লাহর মুসাফির, বাইতুল্লাহর ছায়ায়, তুরস্কে, তুর্কিস্তানের সন্ধানে ও এসো কলম মেরামত করি। প্রথম তিনটি বই-ই ভ্রমণবিষয়ক। শেষেরটি লেখালেখি ও সাহিত্য চর্চা সম্পর্কিত। সংখ্যার বিচারে মাত্র চানটি বই হলেও প্রভাব ও পাঠকপ্রিয়তার দিক থেকে অনন্য উচ্চতায় গিয়ে পৌঁছেছে বইগুলো। বিশাল এক পাঠকশ্রেণিকে চুম্বকের মতো আকর্ষণ করে রাখতে পেরেছে। আলেম-উলামা ও দ্বীনি ঘরানার মানুষের বাইতুল্লাহর সফর যেন তার ‘বাইতুল্লাহর মুসাফির’ ছাড়া পূর্ণতা পায় না। হজ সফরের দুইটি বইয়ে তিনি হৃদয়ের সমস্ত আবেগ ঢেলে রেখেছেন। বাইতুল্লাহর মুসাফিরদের হৃদয়ের প্রেম, ভালোবাসা ও অনুভূনুভিগুলোকে তিনি ভাষা দিয়ে মূর্ত করে তুলেছেন। আধ্যাত্মিকতা, ইখলাস, একাগ্রতা ও নবীপ্রেমকে সযত্নে তুলে এনেছেন এই বইয়ে। তাই হজের সফর মানেই আবু তাহের মিসবাহকে সঙ্গে নেয়া, ‘বাইতুল্লাহর মুসাফির’কে সফরসঙ্গী করা।
আদিব হুজুরের গদ্যের একটা বৈশিষ্ট হলো, তিনি মুসলিম ঐতিহ্যকে গদ্যে তুলে আনেন। উপমায় মুসলিম সংস্কৃতিকে জাগিয়ে তুলতে চান। ইসলামের শ্বাস্বত চেতনাকে গদ্যের ভাঁজে ভাঁজে ঢুকিয়ে দেন। তার গদ্য পড়ে পাঠক তাই সহজেই ইসলামি চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ওঠে, আল্লাহ ও তার রাসুলের প্রেমে ডুবে যায়। বিশেষত হজের সফরনমায় তিনি আল্লাহ প্রেম ও রাসুলের ভালোবাসার যে ঝরনাধারা প্রবাহিত করেছেন তাতে পাঠক তৃপ্তি নিয়ে অবগাহন করতে পারে। আর তুরস্কে, তুর্কিস্তানের সন্ধানে বইতে তিনি ইসলামি খেলাফতের স্মৃতিকে জাগ্রত করেছেন। পাঠককে নিয়ে গেছেন তুর্কিস্তানের পথেপ্রান্তরে। পাঠকের কানে পৌঁছে দিয়েছেন মুহাম্মদ আল ফাতিহের অশ্ব-খুরের আওয়াজ। উসমানি খেলাফতকে করে তুলেছেন বাঙ্ময়। মুসলিমদের বিশ্ব শাসনের দাপুটে সময়, পতনমুখী অটোমান সাম্রাজ্য, খেলাফতকে মুছে ফেলার দুঃসহ ক্ষণ, আতাতুর্কের ধর্মহীনতার সয়লাব সবই তিনি হৃদয়ের কালি দিয়ে ভাস্বর করে তুলেছেন।
‘এসো কলম মেরামত করি’র কথা আলাদা করে বলতেই হবে। এই বই কওমি লিখিয়ে তরুণদের পাঠ্যপুস্তকে পরিণত হয়েছে যেন। এই বইয়ের মাধ্যমে তিনি সাহিত্য চর্চার জগতে প্রবলভাবে নাড়া দিতে সক্ষম হয়েছেন। প্রাথমিক লিখিয়ে তরুণদের লেখালেখিতে আসার জন্য এর চেয়ে উপযোগী বই এই সময়ে দ্বিতীয়টি নেই বললেই চলে।
মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ’র গদ্য এ দেশের কওমি অঙ্গন অত্যন্ত আপন করে নিয়েছে। বিনা বাক্যে তাকে পাঠ্য তালিকায় আবশ্যক করে নিয়েছে। এর পেছনে আমার মনে হয় গদ্যের সৌন্দর্য ছাড়াও আরো কিছু বিষয় কাজ করেছে :
স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে মাদরাসাগুলোতে যখন বাংলা চর্চার প্রবণতা বৃদ্ধি পায় তখন থেকেই একটা দ্বিমুখী টান এ অঙ্গনে শুরু হয়। অনেকেই বিধিনিষেধহীন সাহিত্য চর্চার প্রতি আহ্বান করেন। বাংলা ভাষার নেতৃত্ব আলেমদের হাতে তুলে নিতে সচেষ্ট হন। আবার অনেকেই ‘বাংলায় ইলম নাই’, ‘বাংলা হিন্দুদের ভাষা’, ‘বাংলা সাহিত্যের অশ্লীলতা’, ‘ইসলামি চেতনার অনুপস্থিতি’ ইত্যাদি নানা অজুহাতে সাহিত্য চর্চাকে নিষিদ্ধ মনে করেন। তবে তারাও যে সাহিত্য চর্চার প্রয়োজনীয়তা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেন তা নয়; বরং প্রয়োজনীয়তা ও ‘গোমরাহ’ হবার ভয় এই দুয়ের মাঝে দোদুল্যমান থাকেন। আর যারা সাহিত্য চর্চা শুরু করেন তারাও প্রাচীনপন্থি আলেমদের চোখে ‘বখে যাওয়া সাহিত্যিক’ হিসেবে পরিচিত হওয়ার কারণে এক ধরনের হীনম্মন্যতা নিয়েই এ পথে হাঁটতে থাকেন। যখন আবু তাহের মিসবাহ নতুন ধরনের এক গদ্য নিয়ে পাঠকের সামনে হাজির হন, যেই গদ্যটা বাংলা সাহিত্যের প্রচলিত গদ্যশৈলী থেকে একটু ভিন্ন, কিছুটা আরবিঘেঁষা, উর্দুর ভাবে প্রভাবিত, গদ্যের ভাষাও সহজ ও সাবলীল, পরিচিত শব্দে গাঁথা তখন কওমির উভয় শ্রেণিই তার গদ্যে নিজেদের সুর শোনতে পান যেন, নিজেদের কণ্ঠস্বর যেন খুঁজে পান। ‘হিন্দুসংস্কৃতিঘেঁসা’ বাংলা থেকে একটু দূরে সরে গিয়ে নিজেদের জন্য একটা ‘নিরাপদ বলয়’ আবিষ্কার করে ওঠেন। বাংলা চর্চাও হলো, আবার ‘গোমরাহ’ হবার ভয়ও থাকলো না। ফলে সবাই তাকে আপন করে নিল। নিঃশর্তভাবে তাকে গ্রহণ করে নিল।
আদিব হুজুরের গদ্য জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে আরেকটা বড় কারণ বোধহয় তার ‘পুষ্প’। কওমির একেবারে শ্যাওলাধরা পুরোনো মানসিকতার গণ্ডির ভেতরেও তিনি পুষ্পের মাধ্যমে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে সুন্দর ও চর্চিত করে তুলতে পেরেছেন। এটা তার অসাধারণ সফলতা। তার সাহিত্য চর্চার উপর সকলের আস্থার প্রতিফলন। পুষ্পের মাধ্যমে তিনি স্বতন্ত্র একটা মডেল হয়ে উঠতে পেরেছেন।
তবে পুষ্প যে আস্থা ও ভালোবাসার জায়গা তৈরি করেছিল সময়ের সাথে সাথে তাতে নতুনত্ব না আসার কারণে এবং প্রকাশনার মাঝে দীর্ঘ বিরতির ফলে এখন তা অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে বলে মনে হয়। কিন্তু কওমি ছাত্রদের সাহিত্য চর্চার আর কোনো আস্থার জায়গা তৈরি না হওয়ায় এখনো পুষ্পই এই শূন্যতা পূরণ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে স্যোশাল মিডিয়ার বাইরে থাকা বিশাল ছাত্র সমাজের সাহিত্য চর্চার একমাত্র অবলম্বন পুষ্প। ফলে আবু তাহের মিসবাহ তাদের জন্য এখনও অনন্য আইডল।
সহজ গদ্য, সুন্দর উপমা, কিছুটা আরবি-উর্দু ফ্লেবারের কারণে পবিত্রতার আবেশ, শব্দ ব্যবহারে সচেতনতা, চিন্তাগত বিচ্যুতির আশঙ্কামুক্ত হওয়া, শরয়ি দৃষ্টিকোণ ও ইসলামি আদব-শিষ্টাচারের প্রতি পুরোপুরি যত্নশীলতা ইত্যাদি নানা কারণে আবু তাহের মিসবাহ’র লেখা কওমি অঙ্গনে তুমুল জনপ্রিয় ও গ্রহণীয় হয়ে উঠেছে। বিশেষত কিশোর ও তরুণ বয়সী পাঠকদের উপলব্ধির উপযোগিতা এই বয়সী পাঠকদের আকর্ষণের অন্যতম কারণ।
বলা যায়, আবু তাহের মিসবাহ অনন্য। তিনি একজনই। আরেকজন আবু তাহের মিসবাহ পাওয়া বেশ দুষ্কর।
তবে আবু তাহের মিসবাহ’র গদ্য একটা বয়স পর্যন্ত পাঠকের কাছে অমৃতসম হলেও সকল শ্রেণি, পেশা ও সব বয়সের মানুষের কাছে তা সমান গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, উপরের সমস্ত ভালো দিকগুলোর উপস্থিতি সত্ত্বেও তার গদ্যে কিছু ‘অসুন্দর’ দিক আছে। যেমন তার লেখায় ভাবের গভীরতা থাকে না, আবেগ ও উপমার আধিক্য থাকে। মাঝে মাঝে তিনি লেখার গভীরে ঢুকতে চান, কিন্তু লেখার গভীরে না ঢুকে আবেগের গভীরে ঢুকে পড়েন। লেখার কলেবর ভেতরের বক্তেব্যের তুলনায় বড় হয়ে যায়। পদ্যের ছন্দ তিনি গদ্যে নিয়ে আসতে চান এবং এতে অনেক সময় অর্থের সাবলীলতা নষ্ট হয়। এতে অবশ্য গদ্যের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায় কখনো কখনো। অধিক পরিমাণ কোটেশন ও শব্দের পরিবর্তে ডট চিহ্ন ব্যবহারও অনেক সময় বিরক্তির কারণ হয়ে দেখা দেয়। যদিও এর পক্ষে উনার যথেষ্ট যুক্তি আছে।
ভালো-মন্দ মিলিয়েই মানুষ ও মানুষের কাজ। সবকিছু ছাপিয়ে আবু তাহের মিসবাহ’র গদ্য আমাদের প্রাণের আওয়াজ হয়ে উঠে অনেক সময়। আদিব হুজুর আমাদের সম্পদ, আমাদের হৃদয়ের ভাষ্যকার। বাংলা গদ্য সাহিত্যের অনন্য রূপকার। তার মৌলিক সাহিত্য আরো বেশি পাঠকের সামনে আসা দরকার। এতে বাংলা সাহিত্যে সুন্দরের চর্চা আরো বাড়বে। শালীন সহিত্যের মাঠ আরো উর্বর হবে। সাহিত্যের স্বাদ ও হৃদয়ের খোরাক তার কাছ থেকে পাঠক একসাথে পাবে। আল্লাহ তার হায়াতে ও সময়ে বরকত দান করুন। সৃজনশীল ক্ষমতা ও সময়কে ধারণ করার শক্তি আরো বাড়িয়ে দিন।
তুমুল আন্দোলিত হলাম। যোগাযোগ’র প্রথম পাঠ এটাই। শুভকামনা লেখক ও প্রকাশক।
সংক্ষেপে সুন্দর একটা আলোচনা, পটভূমি অবশ্য বিশালতার দাবী করে। ছোট্ট লেখা তথাপি আকর্ষণীয়।
ভাল ছিল লেখাটা… ধন্যবাদ 💖
আলহামদুলিল্লাহ,
সংক্ষেপে অনেক সুন্দর একটি ধারণা পেলাম।জাঝাকুমুল্লাহু খাইরান ফিদদারইনি🌼।
আর আদীব হুজুরের প্রতি অন্তরের অন্তস্তল থেকে সালাম-
আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
মাশাআল্লাহ । অভিভূত হলাম ।
গঠনমূলক লেখা হয়েছে মা শা আল্লাহ। তবে একটি অসচেতন শব্দচয়নে পুরো লেখাটা দুর্গন্ধযুক্ত মনে হচ্ছে।
মাশাআল্লাহ, এই গরবের ধন- আবু তাহের মিসবাহ হাফিজাহুল্লাহ।
লেখাটি পড়ে সন্তুষ্ট হতে পারলাম না। আদিব হুজুরের মূল্যায়ন করা হলেও লেখাটি সাহিত্যের মানে উত্তীর্ণ হতে পারেনি। বানানভুল, শব্দচয়নে অসতর্কতা, বাক্যগঠনে দুর্বলতা ইত্যাদি বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে লেখাটিতে। অথচ আদিব হুজুর সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো খুবই গুরুত্ব দিয়ে থাকেন এবং সবাইকেই সজাগ দৃষ্টি রাখতে বলেন।
ঠিক ধরেছেন ।
আবু তাহের মিসবাহ ( আদিব হুজুর) দাঃবাঃ
আমি আদিব হুজুর কে ভালবাসি সেই ছাত্র জীবন থেকে। উনার অনেক বই পড়া হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। “এসো কলম মেরামত করি”
“বাইতুল্লাহর মুসাফির ” আল্লাহ হুজুর কে হায়াতে তৈয়্যবা দান করুন এবং দীর্ঘ হায়াত দান করুন আমীন
খুব ভালো লাগলো।
লেখাটিতে মাওলানা আবু তাহের মেসবাহ দাঃবাঃ এর লেখালেখির উপর যে পর্যালোচনা করা হলো নিরপেক্ষ বিচারে তাতে হুজুরের সাহিত্যে মানের মাত্র ২০ পার্সেন বাস্তবতা উঠে এলো। পর্যালোচনাটি আরো বিশদ ও পূর্ণাঙ্গ হওয়ার দাবি রাখে।
অনুবাদ নিয়েও কিছু কথা বললে ভাল হতো। ফাজায়েলে আমল থেকে নিয়ে মুসলমানদের অধঃপতনে বিশ্বের কী ক্ষতি হলো- এমন অসংখ্য কালজয়ী গ্রন্থের চমৎকার অনুবাদ করেছেন তিনি। তাঁকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি। পুষ্পে টুকটাক লেখা পাঠানোর সুবাদে সেই শরহে জামী পড়াকালে ছোট্ট একটা বালককে তিনি ঢাকায় ডেকে নেন। যে আপ্যায়ন ও আন্তরিকতা দেখান- তা ভেবে আপ্লুত হই। একদিন বিস্তারিত লিখব ইনশাআল্লাহ।
একজন ‘আবু তাহের মিসবাহ’ উম্মাহর জন্য অনেক বড়ো সম্পদ। কিন্তু যথাযথ মূল্যায়ন করার কমতি আছে আমাদের।পুষ্পের সুবাদেই আমার আদিব হুজুরকে জানা। আল্লাহ হুজুরের ছায়াকে আমাদের উপর বিস্তৃত করুন।