ইমাম সিবাওয়াইহ : আরবি ভাষার পুরোধাপুরুষ

মুহাম্মদ শরিফ

ইয়াসিন আলহুনাইদা। আরবি ভাষার একজন জনপ্রিয় লেখক। তার প্রধান ক্ষেত্র বিভিন্ন পুরোধা ও মান্যবর ব্যক্তির জীবন ও কর্ম। আরবি ভাষার বিভিন্ন জনপ্রিয় পত্রিকা ও ওয়েব জার্নালে তিনি নিয়মিত লিখছেন। আমাদের এই রচনাটি প্রসিদ্ধ আরবি ওয়েবজিন তিবইয়ান থেকে সংগৃহীত। যোগাযোগ-এর পাঠকদের জন্য রচনাটি অনুবাদ করছেন তরুণ লেখক ও অনুবাদক মুহাম্মাদ শরিফ। লেখক, অনুবাদক ও তিবইয়ানের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।

—সম্পাদক


 

আমরা যখন কোনো ফন নিয়ে শুনি অথবা তা পড়ি, তখন সেখানে অবশ্যই কতক নাম থাকে, যাদের ধরা হয় উক্ত শাস্ত্রের পুরোধাপুরুষ, মানে যেসব মনীষী উক্ত জ্ঞানের অঙ্গনে মেধা ও প্রতিভার সর্বোচ্চ সাক্ষর রেখেছেন; তাঁদের নাম করেই সেখানে উপমা টানা হয় সেরা আর শ্রেষ্ঠত্বের বেলায়, আর এমনটা জ্ঞানের সব অঙ্গনেই চিরায়ত। যেমন ধরুন ইতিহাসের কথাই বলি—ইবনে খালদুন; তাফসিরের কথা বলি—ইবনে কাসির; অথবা ফিকহের কথাই বললাম—বড় বড় চার ইমাম।

তবে ইলমে নাহু? নাহুশাস্ত্রে কার নাম চোখে ভাসে? শুধুমাত্র ‘নাহু’ শব্দটা শুনে আমাদের কি কোনো ব্যক্তিত্বের কথা মনে পড়ে? হ্যাঁ, মনে পড়ে। আমাদের মনে পড়ে তাঁর নামটাই, যিনি হলেন নাহুবিদদের ইমাম, সমকালীন আরবিভাষার পুরোধা ভাষাতত্ত্ববিদ এবং যাকে দিয়ে ইলমে নাহুতে উপমা টানা হয়—সেই ইমাম সিবাওয়াই। কিন্তু তাঁর পরিচয় কী? কার হাতে তিনি জ্ঞানার্জন করেছেন? আর তাঁর প্রধান প্রধান রচনা আর নাহুকর্মই বা কী?

পারসিক থেকে আরবদের মাতৃভাষা শেখা : কে এই সিবাওয়াই?

তিনি হলেন আবু বিশর আমর ইবনে উসমান ইবনে কম্বার—যিনি (কম্বার) হারেস ইবনে কায়াব অথবা বলা হয়, আলে রবি ইবনে যিয়াদ আল-হারেসির মুক্তদাস ছিলেন; আর তাঁর উপাধি হলো সিবাওয়াই। ইলমে নাহুর এই ইমামের জন্ম পারস্যের বায়জা শহরস্থ শিরাজ নামি এলাকায়। আশ্চর্য হলো চরিতগ্ৰন্থগুলোয় তাঁর বংশানুক্রম নিয়ে কিছুই উল্লেখ নেই—কেবল তাঁর পিতা উসমান আর দাদা কম্বারের নাম ছাড়া, আর এই দুটি হলো আরবি নাম, অথচ তাঁর নাম হলো অনারবি তথা সিবাওয়াই—এর পিছনে কারণ সম্ভবত তাঁর মাতা পারসিক ছিলেন। ফলে ইমাম সিবাওয়াই আরবি না পারসিক—এই প্রশ্নের নিশ্চিত কোনো জবাব এখনও পাওয়া যায়নি। তাঁর পারসিক হবার সম্ভবনাই বেশি, কেননা সেখানেই তিনি জন্ম নিয়েছেন, আর তাঁর বাপ-দাদা সম্ভবত ইসলাম গ্ৰহণের পর নিজেদের নাম আরবি করে রেখেছিলেন। এখন ‘সিবাওয়াই’  হচ্ছে ফারসিভাষার একটি উপাধি, যার বাংলা অর্থ ‘আপেলের ঘ্রাণ’। এমন আশ্চর্য নাম হবার পিছনে বলা হয়, তাঁর দুই কপোল দেখে মনে হতো দুটি আপেল, যা ছিল অসম্ভব সুন্দর। আর অনারবরা এটিকে ‘সিবুয়াহ’ উচ্চারণ করে—‘ওয়াই’ শব্দ মৃতদের জন্য বিলাপের ক্ষেত্রে তারা ব্যবহার করে বিধায় ‘সিবাওয়াই’ বলতে তারা পছন্দ করে না। অন্যদিকে আরবরা এটিকে ‘নিফতাওয়াই’ এবং ‘আমরাওয়াই’ ইত্যাদি শব্দের টোনে ‘সিবাওয়াই’ উচ্চারণ করতে অভ্যস্ত।

আরবি শেখার প্রতি তাঁর আগ্ৰহের সূচনা 

সিবাওয়াইয়ের এমন সমুজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠা এবং চিন্তা ও জ্ঞানচর্চার এমন চূড়ায় উঠতে পারা কি এমনি এমনিই সম্ভব হয়েছে? অবশ্যই না; তাঁর সফলতার পিছনে অদম্য মনোবল ছিল, ছিল জ্ঞানের প্রতি প্রবল আগ্রহ; এবং ফলে জ্ঞানার্জনের পথে নিজের সময়কে পাঠ আর চর্চামগ্ন করে রাখতে এই আগ্ৰহই তাঁকে উদ্‌বুদ্ধ করেছে। অবশ্য তিনি আরবিচর্চা শুরুর আগে একটা সময়ব্যাপী ফিকহ আর হাদিস শিখেছেন। তারপর আরবিভাষা শেখার উদ্দেশ্যে বসরায় আসেন তিনি, এবং এখানেই তিনি বড় বড় সব আলেম থেকে নাহুচর্চায় নিমগ্ন হন।

সিবাওয়াই সম্পর্কে বলা হয়

ইমাম সিবাওয়াই সমকালে নিজের বাগ্মিতা, বিচক্ষণতা আর অগাধ জ্ঞানের জন্য সুপ্রসিদ্ধ ছিলেন, এমনকি আরবিভাষার প্রশ্নে তৎকালে তাঁর কোনো সমকক্ষই ছিল না। ব্যাপরটা আরও শক্তিশালী হয় যখন দেখি তাঁকে নিয়ে বড় বড় ব্যক্তিত্বের বিভিন্ন মতামত প্রচলিত আছে এবং তাঁকে নিয়ে রচিত হয়েছে একাধিক বই-পুস্তক। যেমন আবু যায়েদ আল-আনসারি বলেন :

সিবাওয়াই আমার মজলিসে আসত এবং তাঁর সামনের দিকে ছিল দুইটা চুলগুচ্ছ। সে ‘আমাকে একজন বলেছে, যাকে আমি বিশ্বস্ত মনে করি’ দ্বারা আমাকেই উদ্দেশ্য করত।

তারপর উবাইদুল্লাহ আইশি আল-বসরি বলেন :

মসজিদে আমরা সিবাওয়াইয়ের সাথে বসতাম। তিনি ছিলেন পরিচ্ছন্ন আর সুন্দর চেহারার একজন তরুণ। তিনি উত্তরোত্তর জ্ঞানার্জনে লেগে ছিলেন, এবং ফলে বয়সের তারতম্য হবার সাথে সাথে জ্ঞানের বিভিন্ন অঙ্গনে তাঁর অবদান বিস্তৃত হয়েছে।

মাসায়ালায়ে যাম্বুরিয়া… হেরে যাওয়া এবং চিন্তায় ফেলা ভাষাবিতর্ক

এই নাহবি ইমামের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা আর গল্প-কাহিনির মধ্যে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ সম্ভবত সেই বিতর্ক, আব্বাসি শাসক খলিফা হারুনুর রশিদের আমলে ইমাম কিসায়ি এবং তাঁর মধ্যে যা সংঘটিত হয়েছিল। কাহিনি হলো যে, একবার ইমাম সিবাওয়াই খলিফা হারুনুর রশিদের উজির ইয়াহয়া ইবনে খালেদ বারমাকির নিকট গমন করেন। তখন কুফার আলেমদের বড় সমাদর করতেন আব্বাসি খলিফা, খলিফা তাঁদের মধ্যে পাণ্ডিত্য-প্রতিযোগিতা করতেন। ফলে রাজদরবারে কুফি আলেমদের বড় দাপট ছিল—তাঁদের শ্রেষ্ঠত্বে অন্যরা প্রভাবিত ছিল এবং শাহজাদাদের শিক্ষা-দীক্ষার দায়িত্ব তাঁদের উপরেই ন্যস্ত ছিল। ইমাম সিবাওয়াই তাই চাচ্ছিলেন বসরার আলেমদের সামনেও এই রাজদুয়ার উন্মুক্ত হোক—এ জন্যই তখন তিনি তৎকালীন সবচেয়ে প্রসিদ্ধ কুফি নাহুবিদ ইমাম কিসায়ির নিকট মোনাজারা করবার উদ্দেশ্যে গমন করেন, এবং তারপর উজির ইয়াহয়া ইবনে খালেদ বারমাকির মজলিসে এই মোনাজারা অনুষ্ঠিত হয়।

বড় বড় পণ্ডিত এবং স্বাধীন মতামতধারী ব্যক্তিবর্গ ইয়াহয়ার মজলিসে উপস্থিত হলে বিতর্ক শুরু হয়। তো ইমাম কিসায়ি বললেন, আমি প্রশ্ন করব, না আপনি প্রশ্ন করবে? সিবাওয়াই বললেন, না—আপনিই প্রশ্ন করেন।

এরপর দুজনের মধ্যে নানান বিষয়ে বিতর্ক চলতে থাকে। একপর্যায়ে কিসায়ি বলেন,

— আমি মনে করি ভীমরুল থেকে বিচ্ছুর দংশন বেশি গুরুতর, তো فإذا هو هي নাকি فإذا هو إياها, আপনি কী বলেন?

— রফা দিয়ে فإذا هو هي হবে, এইখানে নসব জায়েয নাই। সিবাওয়াই বললেন।

এইখানে ইমাম কিসায়ি আবার নিজের মত তথা উভয় সুরতই জায়েজ—এর পক্ষে অটল থাকেন। ফলে পরস্পরে যুক্তিপ্রদান-যুক্তিখণ্ডন অব্যাহত থাকে, এবং স্বভাবতই অনেক দীর্ঘ হয়ে ওঠে এই বিতর্ক। শেষে ইয়াহয়া বলেন, আপনারা উভয়ই নিজেদের দেশে প্রধান পুরোধা, অর্থাৎ ইলমে নাহুর প্রসিদ্ধ দুই মাকতাবে-ফিকিরের শায়েখ আপনারা, তো আপনাদের মধ্যে ফয়সালা কে করবে? কিসায়ি বললেন যে, আপনার দরজাতেই তো আরবরা আছে, যারা ভাষার প্রকৃত ফিতরাতঅলা, সুতরাং তাদের থেকেই জিগেশ করুন। তখন আরবদের এ ব্যাপারে জিগেশ করা হলে তারা ইমাম কিসায়ির অনুকূলে মতপ্রকাশ করে।

কোনো কোনো বর্ণনাকারী কিসায়ির অনুকূলে আরবদের মতপ্রকাশকে রাজনৈতিক ব্যাপার মনে করেন। তাদের মতে রাজনৈতিক চাপের মুখে বলেই আরবরা কিসায়ির পক্ষে বলেছে, কারণ ইমাম কিসায়ি রাষ্ট্রের মধ্যে অবস্থানঅলা একজন, আর তাই আরবরা ইয়াহয়ার মজলিসে এলে এবং তাদের এ নিয়ে জিগেশ করা হলে তারা বলে যে, ‘কিসায়ি যা বলেছেন, তা-ই সত্য’—অথচ এই বাক্য উচ্চারণে তারা কিসায়ির মতো দৃঢ় কণ্ঠের ছিল না।

এই মোনাজারার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, তা কেবল দুজন আলেমের মধ্যে বিতর্ক হিসেবেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং এর ফলে কুফা এবং বসরার দুই মাদরাসার মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সৃষ্টি হয়, আর তাই তো কিসায়ি সিবাওয়াইকে সম্বোধন করেছেন—‘হে বসরি আপনার কী মত’ এই বলে। এই দুই মাকতাবে-ফিকির বা চিন্তাশিবিরের মধ্যকার ভাষাবিতর্ক আরবি নাহুতে বিস্ময়কর প্রভাব সৃষ্টি করে, আর তাছাড়া কুরআনের ভাষা আয়ত্বকরণ এবং তা মুখস্থকরণে যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল, তারও দলিল এই ঐতিহাসিক মোনাজারা।

সিবাওয়াই-এর হস্তাক্ষর

যারা আলো ফেলেছেন তাঁর জ্ঞানের পথে

জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় সিবাওয়াইয়ের এইরকম মেধা, প্রতিভা আর শ্রেষ্ঠত্ব বিকাশের পিছনে কতক আলেমের অবদান ছিল, এবং তাঁর জ্ঞানের এই স্তরে পৌঁছার ক্ষেত্রে তাঁদের ফজল ও অনুগ্ৰহ ছিল, যেমন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন :

১. খলিল ইবনে আহমদ আল-ফারাহিদি

২. ইসা ইবনে উমর আস-সাকফি

৩. আবু যায়েদ আল-আনসারি

৪. ইউনুস ইবনে হাবিব

৫. আবুল খাত্তাব আল-আখফাশ আল-কাবির

আরবিভাষার গভীরের পথ উন্মুক্ত করেছে যে অবদানগুলি

ইমাম সিবাওয়াইয়ের ‘আল-কিতাব’ কয়েকটা অধ্যায়ে বিভক্ত, যাতে ইলমে নাহুর বিভিন্ন দিক চলে এসেছে। সিবাওয়াই তাঁর কিতাবে নাহুর কায়দা এবং এর উসুলগুলো ব্যাখ্যা করেছেন,  সাথে সাথে তিনি নাহবি কায়দাগুলোকে কার্যত করে এবং সেসব মূলনীতি তার সমস্ত শাখাকে ব্যাপৃত করে এমন ধাঁচে তা উপস্থাপন করেছেন। সেখানে নানা মেসাল বা উদাহরণ টেনেছেন তিনি, নাহবি কায়দাগুলোতে কার্যকর সমন্বয় সাধন করেছেন, এবং ফলে সেগুলো সর্বোত্তমরূপে বুঝতে পারা এবং আয়ত্ব করা সহজ হয়েছে।

আল্লামা জমখশারি একবার ইমাম সিবাওয়াইয়ের শোকপ্রকাশ করে বলেন : (তরজমা)

“খোদার রহমত নাজিল হোক তাহার পর

যিনি হলেন আমর ইবনে উসমান ইবনে কম্বর,

তাহার কিতাব হতে কে আছে অমুখাপেক্ষী

কোন কলমঅলা আর কোন মিম্বারঅলা!”

আরবি ব্যাকরণে নাহু-সরফের ক্রমবিকাশ এবং আরবি বাক্যগুলোর সূক্ষ্ম ও কার্যত ধারার বিশ্লেষণে সিবাওয়াইয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। বাক্য-বিশ্লেষণ ও ক্রিয়া-রূপান্তর নিয়ে তিনি বেশকিছু শক্ত কায়দা দাঁড় করান, আর এসব কায়দা-কানুন প্রণয়নে প্রধান উৎসরূপে তিনি বিশুদ্ধ আরবিভাষার উপর নির্ভর করেন। আরবিভাষা খুব বড় আকারে প্রভাবিত হয় তাঁর এই সমন্বিত ব্যাকরণচিন্তার পরে, এবং তারপর থেকেই তাঁর প্রণীত কায়দাগুলো আরবি ব্যাকরণপাঠের মূলভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, এমনকি তা আজকের দিন পর্যন্ত।

ইলমে নাহুতে তাঁর এই অবদান ছাড়াও সাধারণ আরবি ভাষাতত্ত্ব নিয়ে তিনি কথা বলেছেন। তিনি লিখেছেন ব্যাকরণ ও ভাষা নিয়েও একাধিক বহস, এবং তিনি নাহুর কায়দা-কানুনের ক্রমবিকাশ এবং সেগুলো দৃঢ়করণে বিশেষভাবে কাজ করেছেন। সিবাওয়াইয়ের পরে নাহুর অনেক আলেম-উলামা তাঁর চিন্তাধারা ও কারনামা দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন, এবং তারাও ভূমিকা রেখেছেন ইলমে নাহুর বিকাশ এবং বিভিন্ন অঞ্চলে এর প্রসারণে।

ইংরেজি নবম শতাব্দীতে সিবাওয়াই মৃত্যুবরণ করেন। তবে তাঁর প্রভাব ও উত্তরাধিকার আজকের দিনে এসেও আমরা বহন করে চলেছি। আরবিভাষার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব এবং ইলমে নাহুতে তাঁকে অন্যতম পুরোধাপুরুষ ধরা হয়। তাঁর কিতাব ও চিন্তাধারার পাঠদান আরবি বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হয়ে থাকে, এবং ইলমে নাহুতে তাঁর কিতাব মৌলিক উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।

মোটকথা, সিবাওয়াই আরবি নাহুতে একজন স্বতন্ত্র ও সমুজ্জ্বল আলেম ছিলেন, তাঁর প্রসিদ্ধ কিতাব এবং তাঁর অগ্ৰগামী চিন্তার ফলে ইলমে নাহুর বিকাশ এবং এর কায়দাগুলোর দৃঢ়সাধন সম্ভবপর হয়েছে। ইমাম সিবাওয়াই আরবিভাষার নিয়মকানুনের একটা রূপরেখা নির্মাণ করেছেন, এবং সহজ করে দিয়েছেন ইলমে নাহুতে পরবর্তীদের পথচলা।

সিবাওয়াইহির বইয়ের প্রচ্ছদ

 

তথ্যসূত্র :

১. খাইরুদ্দিন যিরিকলির ‘আল-আ’লাম’— (৫/৮১)

২. ইবনে খল্লিকানের ‘ওফায়াতুল আ’য়ান’— (৩/৪৬৩)

৩. আব্বাস আল-কুম্মির ‘আল-কুনা ওয়া আলকাব’ — (২/৩২৯)

৪. খতিব বাগদাদির ‘তারিখে বাগদাদ’— (১২/১৯৫)

৫. ইবনে নাদিমের ‘আল-ফিহরিস্‌ত’— পৃষ্ঠা: ৭৬

৬. ইবনে জাওযির ‘আল-মুনতাযাম ফি তারিখিল মুলুক ওয়াল উমাম’— (৯/৫৪)

৭. সিয়ারু আ’লামিন নুবালা— (৮/৩৫১)

৮. আহমাদ আহমাদ বদভির ‘সিবাওয়াই: হায়াতুহ ওয়া কিতাবুহ’

 

বিজ্ঞাপন

Subscribe
Notify of
guest
1 Comment
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
ইমরান হুসাইন
ইমরান হুসাইন
1 year ago

মাশা-আল্লাহ। ভালোই লাগলো,তবে অতৃপ্ত রহিলাম।

স্বত্ব © ২০২৩, যোগাযোগ | ই মেইল : jogajogbd.org@gmail.com

যোগাযোগ-এ প্রকাশিত কোনো লেখা, ছবি কিংবা শিল্পকর্ম লেখক অথবা কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা অবৈধ৷