সময়ের শুরু থেকে-তারো আরও আগে
যখন জাগেনি প্রাণ সঘন আবেগে
যখনো হয়নি গড়া কাল মহাকাল
জানে না কীভাবে হবে সকাল বিকাল
ফোটেনি ভাষার মুখে কথার কুসুম
সৃজনে জাগেনি বান-তোমার হুকুম
এক ও একক হয়ে তুমি একা আছো
ধ্বনি নাই সুর নাই সৃজনের আঁচও
সমুদয় নাই জুড়ে তোমার একক
এককে নিহিত সব-লিখুক লেখক
তুমিই লেখক তুমি মসি কারিগর
কলম বানালে আগে-জ্ঞানের কদর
কলম সুয়াল করে লেখার বিষয়
-জগতের পরিণাম জন্ম ও ক্ষয়
কলম হুকুম শুধু-গোলাম কেবল
তোমার আদেশ লেখে নিখুঁত নকল
তারপর প্রাণ পায় মহাকায় নুন
নুনের সে ভেদ বুঝি নাই এই গুণ
লেখা হলো আলোজীব, আগুনের জান
নরোম মাটির দেহ এই ইনসান
পুরুষ রমণী শিশু-তাদের নসিব
না ফোটা ফুলের কলি দুখবতী ক্লীব
বেহেশত্ দোজখ আর আকাশ পাতাল
পৃথিবীর পরিণতি কেয়ামতকাল
বেদনা বিরহ ব্যাথা হাসি আহলাদ
জরা খরা মহামারি মরণের স্বাদ
সমূহ হুকুমনামা রচনার পর
কলমের মুখে আঁটে সিসার মোহর
কলম হারালো কথা বলার ভাষা
তবুও লিখছে আজো আশা-প্রত্যাশা
সৃষ্টি জগতে যতো ঘটে অঘটন
কলম কারণ তার, তারি এ লিখন
যতো গান সুর ঘ্রাণ পরিণয় সুখ
কলম লিখেছে এই সুখের অসুখ
কলমের মহিমায় লেখা হলো যতো
আরো যদি লিখে যাই চির অবিরত
হবে না হবে না শেষ কলমের কথা
এখানে ক্ষান্ত দিই-আমি তো অযথা
কলমের কারিগর-যিনি যথাযথ
তার কাছে ক্ষমা চাই আভূমি আনত
সেজদায় শুয়ে পড়ি রুকুতে বাঁকাই
নাজাতের আশা নিয়ে আকাশে তাকাই
দোহাই নবির নামে এতিম রাসুল
আগুন নেভাও খোদা নিও না উসুল
দুরুদে দগ্ধ করো জিকিরে জাগাও
পাঁজরের ভাঁজ খোলা-হৃদয়ে আগাও
ভিতরে তাকিয়ে দেখো ভাঙা এক ঘর
আমার বাংলাদেশ-কাঁপে থরোথর
ঝড়ের ঝাপটা আসে পড়ো পড়ো বেড়া
সবুজ জায়নামাজ-তিন দিকে ঘেরা
দিকের মালিক তুমি মহা দিকপাল
সাগরে ডুবাও খোদা সব কূটচাল
ফুল ফল মিঠা জল ঈমানের সুখ
ঢালো আর আলো করো এ দেশের মুখ
আখেরে মিনতি করি এই মোনাজাত
শিরকের ছায়া হতে রাখিও তফাত
মদিনার ওয়াদায় রাখো এই ঢাকা
আমার শহরে করো বেহেশত্-শাখা
সোনার মদিনা হোক সোনার এ দেশ
ছোট কবি মাহফুজ করেছি কোশেশ
সিনায় কোরান আছে, মা-বাবা মাথায়
বিফলে যাবে না দোয়া নবিজি সহায়
মাশা আল্লাহ
জাঝাকাল্লাহ
অনেক ভালো লাগলো
এভাবেও প্রার্থনা করা যায়!