মিনা বাজার (দ্বিতীয় পর্ব)

মূল : আব্দুল হালিম শরর লখনভি

মাসুম বিন শাহাদাত

মীনা বাজার (প্রথম পর্ব)

দ্বিতীয় অধ্যায় : মিনা বাজারের প্রস্তাব 

সেদিনই সন্ধ্যায় বাদশাহ শাহজাহান অন্দরমহলে একটি স্বর্ণালি আসনে বসেন। আর তার সামনাসামনি বসেন রানি মমতাজ বেগম। দাসীরা নিঃশব্দে দরজায় উৎকর্ণ হয়ে থাকে—কোনো নির্দেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা পালন করবে। 

মমতাজ বেগম খুবই গম্ভীর প্রকৃতির চিন্তাশীল নারী। বয়স ৫০  পেরিয়েছে। তার চেহারায় এখন সেই পূর্বের সৌন্দর্যের ধাঁধার পরিবর্তে একজন পৌঢ় সুন্দরীর গাম্ভীর্য ও দৃঢ়তার ছাপ। 

প্রতিটি কাজ তিনি তার গুণধর স্বামীর ইচ্ছানুযায়ী করেন। তার নির্দেশ-পরিপন্থি কোনো কাজ করা তার পক্ষে অসম্ভব। 

এমনিভাবে বাদশাহরও এমন স্বভাব, তাকে জিজ্ঞেস না করে কোনো কাজ করেন না। 

এর কারণ মমতাজ বেগম শুধুই যৌবনের প্রেম-ভালোবাসার খেলনা ছিলেন না, তিনি ছিলেন বাদশাহর সৌভাগ্যবান চার সন্তানের জননী এবং প্রাসাদ-জীবনে তার পূর্ণ কর্তৃত্বের অধিকারী। 

বাদশাহর চেহারা দেখে মনে হয় তিনি কিছু একটা বলতে চান, কিন্তু কোনো বিশেষ কারণে বলছেন না। যেন কথা মুখে আটকে যাচ্ছে। তিনি দ্বিধান্বিত—কথাটি বলবেন কি বলবেন না। বিষয়টি মমতাজ বেগমও আঁচ করতে পারেন। 

কিন্তু তিনিও এমন ধৈর্যশীল বুদ্ধিমতী, নিজের স্বাভাবিক অবস্থার মধ্যে কোনো পরিবর্তন আসতে দেননি। যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন তা যেন বাদশাহর সামনে একটুও প্রকাশ না পায়। তিনি বাদশাহর মনের কথা পড়তে পেরেছেন। অবশেষে বাদশাহ নিজেকে শক্ত করে রানির দিকে মনোনিবেশ করে বলেন,

‘বেগম, একটি কথা বলতে চাই, কিন্তু দ্বিধাদ্বন্দে আছি তোমাকে বলব কি না!

রানি তার গাম্ভির্যতা বজায় রেখে বলেন, ‘ওই অপছন্দনীয় কথাটি কি, যা বলতে জাহাঁপনার এত দ্বিধা? সেটা কি রাজ্যের গোপন কোনো বিষয়, যা অন্যদের পরামর্শ মোতাবেক নারীদের কাছে ফাঁস করা উচিত নয়?’ 

বাদশাহ হেসে বলেন, ‘রাজ্যের কোন খবর তোমার অজানা, যা এখন তোমার থেকে লুকোব? তুমি জানো, আমি ওসব পুরোনো কথায় বিশ্বাসী নই—কোনো কথা নিজের অন্তরঙ্গ জীবনসঙ্গী স্ত্রীর কাছে গোপন করব।’

‘অবশ্যই আমি স্বীকার করছি জাহাঁপনা অধিকতর গোপন কথাও আমার থেকে লুকান না। কিন্তু এ সম্ভাবনা আছে, ইদানীং কেউ হয়তো ওই পুরোনো কথা এমন ভাষায় উপস্থাপন করেছে, যে কারণে এই ভাবনা তৈরি হয়েছে, নারীদের বিশ্বাস করা উচিত নয়।’ এটা বলার সময় স্বভাবজাত গাম্ভীর্য থাকা সত্ত্বেও মমতাজ বেগমের চেহারায় মৃদু হাসির ঝিলিক খেলা করে।

‘এখন আমাকে কে প্ররোচিত করবে। সত্যি বলতে, ওসব পুরোনো উপদেশমতো আমি চলতে পারব না। এই উপদেশ আমার কাছে সঠিক বলেও মনে হয় না। মানুষের প্রকৃত ও সবচেয়ে অন্তরঙ্গ বন্ধু হলো তার বিশ্বস্ত স্ত্রী। সে কীভাবে তার থেকে কোনো কথা লুকাতে পারে? তোমার থেকে কিছু লুকালে তো আমার পক্ষে ঘরে থাকাই মুশকিল হয়ে পড়ে। কী আশ্চর্য, আমি যেন পাগল হয়ে যাই!’ 

এ কথা শুনে রানি আচমকা বলে ওঠেন, ‘খোদা তায়ালা শত্রুর আশা পূরণ না করুক!’ এরপর আবার বলতে শুরু করেন, ‘আমিও আপনার এমন স্বভাব ও অনুগ্রহের কথা ভেবে  বলি, পৃথিবীর কোনো বাদশাহর স্ত্রীর ভাগ্যেই এমন খাঁটি প্রেমিক স্বামী জুটবে না, যেমনটা আমার কপালে জুটেছে। এবার বলুন, আপনার মনের কথা প্রকাশ করতে এত দ্বিধা কিসের?’ 

‘তা এ কারণে যে তোমার মনে যেন কোনো খারাপ ধারণা সৃষ্টি না হয়!’ 

মমতাজ বেগমের সর্বাঙ্গ কেঁপে ওঠে। তিনি বলেন,   ‘ও, তাহলে তা খারাপ ধারণা করার বিষয়?’

‘খারাপ ধারণা করা উচিত নয়; কিন্তু এর সম্ভাবনা রয়েছে, তুমি সেটাকে খারাপ মনে করে বসবে। আমার ভয়, খোদা জানেন, তুমি সেটার অনুমতি দাও কি না?’

‘আমার খারাপ ধারণা হওয়ার ভয়, অথচ তা আমাকে বলা প্রয়োজন। আমি মনে করি এমন কথা বলা উচিত নয়!’

‘না, তা হতে পারে না। প্রথমত, তোমার অজান্তে আমি কোনো কাজ করতে চাই না। দ্বিতীয়ত, কাজটি এমন যা তোমার হাতেই সম্পন্ন হতে পারে।’

‘আচ্ছা; তাহলে বলুন, আমি অঙ্গিকার করছি খারাপ ধারণা হবে না।’

‘ব্যাস, আমি এতটুকুই চাই। তাহলে শোন, আমার ইচ্ছে, দাদা আকবরের মতো আমিও একটি মিনা বাজার প্রতিষ্ঠা করব। এর সব ব্যবস্থাপনা থাকবে তোমার হাতে। মাশাল্লাহ, তুমি অনেক বুদ্ধিমতী ও আমার রাজ্যের সবচেয়ে বড় পরামর্শদাতা। 

বাজারটির কল্যাণে পর্দানশিন নারীদের মধ্যে  মেলামেশা বাড়বে। তারা দুনিয়ার কারবারি দ্বারা উপকৃত হবে। হিন্দু- মুসলিম নারীদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হবে। অভিজাত নারীরাও এর থেকে লাভবান হবে। কী আনন্দ, দরিদ্র নারীরা এই বাজারের কল্যাণে বিত্তশালী হবে। তোমারও বড় উপকার হবে, সাধারণ নারীদের অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবে। যার প্রতি তোমার অধিক আগ্রহ।’

‘নিশ্চয় আমার আগ্রহ আছে। নারীদের উপকারের জন্য তা পছন্দ করি। কিন্তু ভালো হতো যদি এটা শুধুই নারীদের বাজার হতো। দোকানি হতো নারী ক্রেতাও হতো নারী। আকবরের আমলের মিনা বাজার আমার পছন্দ নয় যে, বাদশাহ ও আমিরগণ পর্দানশিন নারীদের মধ্যে অনুপ্রবেশ করবে।’

‘আকবর মিনা বাজার বড় সদিচ্ছায় খুলেছিলেন। যদি তিনি ও তার আমিরগণ বাজারে গিয়ে ক্রয় না করতেন, তবে কখনোই নারীরা এত লাভবান হতো না। নারীরা বাদশাহর আগমন উপলক্ষে যে আড়ম্বর ও সাজসজ্জায় তাদের দোকানগুলো সাজাত, তা কখনো হতো না।’

‘এসব লাভ একদিকের আর ক্ষতি আরেক দিকের। নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশার কারণে অশ্লীলতা বেড়ে যাবে। বিভিন্ন ফেতনা সৃষ্টি হবে। কোনো বেগানা পুরুষ কারও স্ত্রীর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তার স্বামীর শত্রু বনে যাবে। ঘর থেকে ভাগাতে চাইবে। পক্ষান্তরে কোনো বেগানা নারী কোনো পুরুষের প্রতি পাগল হয়ে নিজের স্বামী, এমনকি সন্তান পর্যন্ত বিসর্জন দিতে তৈরি হয়ে যাবে। এসব কারণে যে ক্ষতি হবে তা ওই দৃশ্যমান লাভ থেকে বেশি ক্ষতিকর।

‘বেগম, তুমি ক্ষমার অযোগ্য বিষয়ের উল্লেখ  করেছ। কিন্তু যখন দেখি, আকবরের যুগে বাজারের কারণে এমন কোনো ফেতনা হয়নি। তখন নিশ্চিত হই, আমাদের সম্মানিত আমিরের স্ত্রীরা এমন কুপ্রবৃত্তির পূজারী নয়, যেমনটা তুমি তাদেরকে মনে করছ।’

‘কে বলে ফেতনা হয়নি। বিভিন্ন ফেতনা হয়েছিল। এসব বিষয় সাধারণত অভিজাত লোকেরা লুকোছাপা করে। মিনা বাজারের সবচেয়ে বড় ফেতনা তো সকলেরই জানা, মরহুম জান্নাতবাসীর (আকবর) মনে মেহেরুন্নিসার প্রতি মোহ জন্মে। তিনি তার স্বামী শের আফগান খানজানের কাছে গেলে সে মেহেরুন্নিসা থেকে নূরজাহান বানু হয়ে যায়।

বাদশাহ অট্টহাসি দিয়ে বলেন, ‘এটা মিনা বাজারের কারণে নয়। এটা পিতামহের রঙ্গপ্রিয় স্বভাবের প্রয়োজনে। এগুলো একটু-আধটু সব বাদশাহর বেলায়ই ঘটে।’

‘হ্যাঁ, সব বাদশাহর বেলায় ঘটে। যদি এই নতুন মিনা বাজারের কারণে আপনার ক্ষেত্রেও ঘটে!

‘দেখো, তুমি কিন্তু অঙ্গীকার করেছ, কুধারণা করবে না। আমার ওপর তোমার এমন ধারণা করা উচিত নয়। তুমি থাকা অবস্থায় আমার জন্য অন্য নারীদের প্রতি তাকানোও অসম্ভব। তুমি আমার হৃদয়ের রানি। রাজত্বের বাগডোর তোমার হাতে। আমার অবর্তমানে তোমার ছেলে হিন্দুস্তানের শাসক।’

‘এমন কথা বলবেন না। আমার জীবন আপনার নিঃশ্বাসের সঙ্গে জড়িত। খোদা ওই দিন না দেখাক, যেদিন আমি কোনো ছেলের কাল দেখব। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর আমি এ দুআই করি, আমার মৃত্যু যেন আপনার সামনে হয়। আপনার হাতে আমার দাফন হয়।’

‘এটা তোমার আকাঙ্ক্ষা। তোমাকে ছাড়া আমার জীবন অর্থহীন, তিক্ত স্বাদহীন। আমার রাজত্বের সুখ কেবল তোমার কারণে। এসব কথা ছাড়ো, যে কারণে দুনিয়া অর্থহীন, বেঁচে থাকা স্বাদহীন লাগে। তুমি যদি মিনা বাজার পছন্দ না করো, তাহলে আমি এর চিন্তা থেকে সে আসব।’

মমতাজ বেগম মুচকি হেসে বলেন, ‘আমি আপনাকে রাগানোর জন্যই এসব বলছিলাম। অন্যথায় আমার কাজ হলো, যে বিষয়ে আপনার আগ্রহ, তা যেভাবে সম্ভব পূরণ করা। যখন বিগত যৌবনে খারাপ ধারণা তৈরি হয়নি, তা এখন কী করে হবে! আপনি মিনা বাজার সাগ্রহে খুলুন আমি এর বিরুদ্ধে নই।

‘শুধুই বিরুদ্ধে নয় বললে চলবে না, আমার ইচ্ছে  আমার সময়ের মিনা বাজারটি তোমার হাতে প্রতিষ্ঠা পাবে। তোমার পক্ষ থেকে এর ঘোষণা হবে। তোমারই নির্দেশে শহরের বাইরে এর দালান নির্মিত হবে। তুমি নিজে এর উদ্বোধন করবে।’

‘আপনার খুশির জন্য আমি সেসব করতে প্রস্তুত। তবে আপনি অঙ্গীকার করুন, কোনো নারীর দিকে কুদৃষ্টি দেবেন না। শয়তান মানুষের কাছেই থাকে। সামান্য দুর্বলতা পেলেই তাকে প্ররোচিত করে। বাজারটি সাজিয়ে দুলহান বানানো ও সব ধরনের চিত্তাকর্ষক উপকরণ তৈরি করা আমার কাজ। আপনার কাজ হলো, কোনো সুন্দরীকে দেখলে পা হড়কে পিছলে না পড়া। এ অঙ্গীকার কেবল আপনার জন্য, আমার জন্য নয়। কারণ আমি যেমন আছি তেমনই থাকব। কেউ আমার ক্ষতি করতে পারবে না। কেননা আমার হৃদয়ে কামনা-বাসনা একদমই নেই।

এই অঙ্গীকার আপনার মঙ্গলের জন্যই। আপনি জানেন, অনেকে বলেন, বাদশাহর সাথে কোনো নারীর পর্দা করা উচিত নয়। কিন্তু এটা কোন নিশ্চয়তার ওপর বলেন? শুধু এই বিবেচনায়  বাদশাহ প্রজাদের জান-মাল, ইজ্জত- সম্মানের রক্ষাক। 

আপনি বাজারে আসলে নিজের মনে এই চিন্তা বসিয়ে নেবেন, বাজারে যত বৃদ্ধা আছেন  তারা সকলেই আমার মা; যুবতিরা আমার বোন, আর কুমারীরা মেয়ে।’

‘রাজ্যের সকল নারীকে আমি এমনটিই মনে করি। তুমি যেহেতু বলছ, তাই মিনা বাজারে এর প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেব।’

‘মিনা বাজার প্রতিষ্ঠার পর প্রজাদের মাঝে আপনার গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়বে।’

‘সুতরাং আমার ইচ্ছানুযায়ী কি তুমি মিনা বাজার পুনরায় প্রতিষ্ঠা করতে চাও?’

‘একদম মনেপ্রাণে চাই। আমার বিশ্বাস, বাজারটি নারীদের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে। এর দ্বারা  অনেকে লাভবান হবে।’

‘তাহলে আগামীকালই এর দালান নির্মাণের নির্দেশ জারি করো। আমি চাই বাজারটি যেন চিরকাল  জারি থাকে। এ কাজটি দুনিয়াতে স্মরণীয় হয়ে থাকে। এই দালানটি সে কাজের জন্য সুরক্ষিত থাকবে। প্রতি বছর বিশেষ মৌসুমে তাতে নারীদের বাজার বসবে।’

‘প্রতি বছর আমি এ ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করব। কিন্তু বাজারটি ততক্ষণ পর্যন্ত থাকবে, যে পর্যন্ত  আপনার বা কোনো শাহজাদা কিংবা কোনো আমির থেকে কোনো সীমালঙ্ঘন না হবে। কারণ এর দ্বারা যদি কোনো ফেতনা সৃষ্টি হয়, আমি এটাতে কল্যাণ মনে করব না। আমি কোনো দুষ্কৃতিমূলক কাজের জন্য স্মরণীয় থাকতে চাই না।

‘ইনশাআল্লাহ, কোনো ফেতনা হবে না। যতক্ষণ আমি সতর্ক দৃষ্টি রাখব,  ততক্ষণ কারও সাহস নেই নারীর প্রতি কুদৃষ্টি দেবে।’

‘ভালো হয় কালই যদি আমার পক্ষ থেকে স্থপতিকে নির্দেশ প্রদান করেন, যেন দালানের জন্য একটি ভালো নকশা তৈরি করে আমার সামনে পেশ করে। এরপর দ্রুত দালাননির্মাণ কাজ শুরু হবে। যেন এ বসন্তেই বাজারটি খোলা যায়।’

‘আমি খুব দ্রুত দালান নির্মাণ করব। তিন-চার দিনের মধ্যে নকশা তৈরি হয়ে যাবে।’ 

এখন বাদশাহর মনে কেবল মিনা বাজারের চিন্তা। রাতে বারবার ঘুম ভেঙে যায়। যখনই চোখ মেলে এরই চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খায়। ভোরে নামাজ শেষে যতক্ষণ  রানি বেগমের পক্ষ থেকে দালান নির্মাণের জন্য নকশা তৈরির নির্দেশ না আসে, ততক্ষণ বাদশাহ দরবারে যান না।

নির্দেশ জারি হতেই রাষ্ট্রের উজিরকে ডেকে রানির নির্দেশনা জানিয়ে দেন। স্থপতিকে বলেন, দু-তিন দিনের মধ্যেই যেন নকশা তৈরি করে পর্যবেক্ষণকারীদের সামনে পেশ করে। সেই সাথে ঘোষণা করা হয়—

‘এবার বসন্তে রানি মমতাজ বেগম সাহেবা শহরের বাইরে এক আলিশান মিনা বাজার খুলবেন। সকল হিন্দু-মুসলিম আমির ও অভিজাতদের স্ত্রীদের তাতে অংশগ্রহণ করা চাই। কয়েক মাস আগে থেকেই ঘোষণা করা হচ্ছে, যাতে রাজ্যের সকল রীতি পালনকারী স্ত্রীরা বাজারে মূল্যবান মণিমুক্তা, নিজ হাতে তৈরি দুর্লভ জিনিসপত্র প্রস্তুত রাখে। অন্যান্য শহর ও গ্রামের যেসব নারীরা আসতে চায়, তারা সফরের প্রস্তুতি নেয়। রাজ্যের গুণী নারীদের ধন-দৌলত লাভের সুবর্ণ সুযোগ। চাহিদা অনুপাতে মূল্য পরিশোধ করা হবে। যেই তারিখে বাজার খোলা হবে পরবর্তী সময় জানিয়ে দেওয়া হবে।’

ঘোষণা হতেই ঘরে ঘরে এক আশ্চর্য উন্মাদনা সৃষ্টি হয়। সবার ঘরে একই আলোচনা। নারীরা তাদের স্বভাব-রূচি অনুসারে বিক্রির জন্য জিনিসপত্র তৈরি করতে থাকে। ধনি নারীরা তাদের রীতি অভ্যাস অনুযায়ী বিভিন্ন প্রসাধন তৈরি করে।

বিজ্ঞাপন

Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

স্বত্ব © ২০২৩, যোগাযোগ | ই মেইল : jogajogbd.org@gmail.com

যোগাযোগ-এ প্রকাশিত কোনো লেখা, ছবি কিংবা শিল্পকর্ম লেখক অথবা কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা অবৈধ৷