দুয়ারে পাষাণ তালা (পঞ্চম কিস্তি)
নুরা মসজিদের সীমানায় পৌঁছায়। প্রাচীরের গায়ে ছকের মতন বসানো কাঠের দরজাটা ভিড়াইয়া রাখা। নুরা দরজায় হাত রাখে। ছিটকানি দেওয়া নাই। থাকলেও প্রয়োজনে সে দস্তক দিয়া দুয়ার খোলাবে। এক্ষণে তার সকল বাধা টুইটা গেছে। কাইটা গেছে যাবতীয় ভয় দ্বিধা সংকোচ আর জড়তার ধূম্রজাল। এক্ষণে তার জীবন তার অধিকারে। মনমাঝারে অবাধ্য বাসনার দঙ্গলেরা আর কুস্তি লড়ে না, তারা অনন্ত শান্তির নিদ্রা চায়।
নিরীহ এক ধাক্কায় সীমানাপ্রাচীরের দরজা খুইলা যায়। মসজিদের দরজাগুলা সব ভেজানো। কোথাও কেউ নাই। চাতালটা পইড়া আছে শূন্য। ঝরনার পাশের পাথুরে জমিনেও কেউ বইসা নাই। এক ধু-ধু নিস্তব্ধতা ছড়াইয়া রইছে দূর দূর পর্যন্ত আর তারই মাঝে বেধড়ক ধড়কাইতেছে তার দিল।
নুরা ঝরনার কাছে আইসা দাঁড়ায়। এদিক-ওদিক চাইয়া কারে যেন খোঁজে। কল্পনায় কার যেন পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়। না। বাস্তবেই কেউ আগাইয়া আসে পিছনে। ওয়াজেদ আসতেছে, টের পায় নুরা। শরমে মাথা ঝুকাইয়া লয় সে, দৃষ্টি নত রাখে।
‘তুমি? এইখানে, এই অসময়ে?’ একটা পুরুষকণ্ঠ ঝনঝন করে ভাঙে নিঃশব্দতা। সেই চেনা কণ্ঠস্বর, কোমল আপন অথচ রাশভারী, যেন তার এইখানে আসার রহস্য জাইনা ফেলছে।
‘এবাদত করতে আসছি’, নুরা জড়তা কাটাইতে চায়।
‘এই সময়ে?’
‘এবাদতের জন্য কি বিশেষ ওয়াক্ত জরুরি?’
‘হ্যাঁ, জরুরি। যেই বেলায় আজান হয়, তখন ওই বেলার নামাজের ওয়াক্ত।’
‘কেউ যদি নামাজ পড়তে না জানে?’ নুরা মাথা না উঠাইয়া জিগায়।
‘আমি শিখাইয়া দেবো তোমারে, কিন্তু..’ ওয়াজেদ কথার মাঝপথে আটকাইয়া যায়।
বাকিটা শোনার জন্য নুরা এই প্রথম ওয়াজেদের দিকে পূর্ণ চোখে তাকায়। ওয়াজেদের শাহাদত আঙুলি নুরার নাকের লাল তিল বরাবর আগাইয়া আসতেছে; যেন সে কল্পনার কোনো মায়াচরিত্র, বাস্তবের কেউ নয়, যারে বিশ্বাস করার জন্য ছুঁইয়া দেখতে হয়। নুরার ঠোঁট অপেক্ষার মতন আলতোভাবে খোলা। তার শীতল কালো চোখে প্রত্যাশা আর প্রশান্তির ছাপ। তার বিশ্বাস, কোনো বিপদ আসলে সামনে দাঁড়ানো মুরশিদ তারে রক্ষা করবেন।
নিজের উদ্দেশে গাল বকে ওয়াজেদ। বিব্রতভাবে হাত ফিরাইয়া নেয় দ্রুত। কিন্তু চক্ষু তার শাসন মানে না। নুরার চেহারা থেকে তা পিছলাইয়া নামে তার স্ফীত বক্ষে। পরক্ষণেই নিদারুণ আহত হইয়া আবার ফেরত আসে চেহারায়। নুরার কাকচক্ষুর গভীরে ডুব দিয়া তার মনের ভাষা পড়তে চায় ওয়াজেদ। সত্যি নুরা এবাদত করার জন্য আসছে? নাইলে স্বামী ছাড়া এই অসময়ে কেনই বা আসছে? নুরা নির্বাক চোখে চাইয়া থাকে। সে কেমনে বোঝাবে যে, সেও তার কালিমালিপ্ত অন্তরে একটু শুভ্রতার পরশ চায়। সে চায়, ইমাম তারে এমন কিছু বলেন, যাতে তার দিলমন শান্ত হয়, মনের বেচাইনি ভাব দূর হয়, যা তারে প্রায়শই কাবু কইরা ফেলে, এবং যা গতরাতেও তারে নির্ঘুম বানাইয়া রাখছে।
দুজনেই চুপ থাকে। নিঃশব্দ সময় বইয়া যায়। বৃক্ষের ঘন ডালপালা জমাট ছায়া ফেলে তাদের গায়ে। ঝরনার জল কুলকুল রবে বইয়া যায়। পাশেই গজাইয়া ওঠা সবুজ ঘাসগুলি থেকে সোঁদা মাটির গন্ধ আসে।
‘তুমি রোজ রোজ কেমনে এইখানে আসতে পারো? তোমার স্বামী মানা করবে না?’
‘সে এইখানে নাই,’ স্বামীর প্রসঙ্গ এড়াইতে চায় নুরা।
‘নাই!’ ভ্রু কুঁচকায় ওয়াজেদ। সরু চোখে তাকায় নুরার কন্যার দিকে, যে মায়ের কোলে মাথা রাইখা নিশ্চিন্তে ঘুমাইতেছে।
‘এর জন্মের এক বছর পর সে রাওয়ালপিন্ডি গেছিল কাজের খোঁজে,’ কন্যার দিকে তাকাইয়া বলে নুরা। ‘সেই যে গেছে, আর ফেরে নাই। না কোনোদিন একটা চিঠি পাঠাইছে, না একটা পয়সা। মাঝেমধ্যে বাঁইচা থাকা খুব কঠিন হইয়া যায় সাঁইজি।’ উদাস কণ্ঠে জবাব দেয় নুরা। তার চেহারায় দুঃখের ছাপ ফুইটা ওঠে। মাথা নিচু কইরা পায়ের নখ দিয়া মাটি খোঁড়ে সে। ঘুমন্ত কন্যারে পার করে অন্য কাঁখে।
‘সুখেই আছে হয়তো। এজন্যই শায়েদ গ্রামে আসতে চায় না।’ ওয়াজেদ নুরারে উসকায়।
‘সে যদি ভালোমানুষ হইত, তাহলে এভাবে আমারে ছাইড়া যাইত না। অন্য সবার মতন আমিও চাই, মাথার ওপর একটা ছায়া থাকুক। কেউ একজন থাকুক, যার সাথে সুখ-দুঃখের গল্প করা যায়।’ নুরা উদাস চোখে ওয়াজেদের দিকে তাকাইয়া বলে। মনের কথা বলার মতন একজনরে পাইছে সে। পিরের কাছে মানুষ তার মনের কথা কয়, মনের দুঃখে কান্দে। এইজন্যই তো এত এত মানুষ পিরের দরবারে যায়। সামনে দাঁড়ানো ইনসান শায়েদ পিরই হইবেন। পির বইলাই তো তিনি জিনদের ভাগাইয়া দিয়া মসজিদে একা বসত করেন। পির ছাড়া এই সাহস আর কে করবে?
‘তোমার নাম কী?’ ওয়াজেদের গলায় সেই আপন কোমল ভাব।
‘নুরা। নুরা মানে নাকি রোশনাই। আমি তো আন্ধারেই থাইকা গেলাম, সাঁইজি।’ নুরা তার ভারাক্রান্ত দৃষ্টি অন্য দিকে ফিরায়।
‘আর কন্যারে কী নামে ডাকো?’
‘শাদান। আল্লাহ তারে হামেশা খোশ রাখেন।’ ঘুমন্ত কন্যার কপালে চুমু খায় নুরা।
কী বলবে বুইঝা পায় না ওয়াজেদ। তার মনে চায় নুরার মাথায় হাত দিয়া তারে কাছে টানে আর ছুঁইয়া দেয় গাল আর বাহুবন্ধনে পিষ্ট করে সজোরে। তার জিভ শুকাইয়া যায়, যেন কেউ বালু ভইরা দিছে মুখে।
নুরার চইলা যাওয়া উচিত এখন; কিন্তু ঠায় দাঁড়াইয়া থাকে সে। ওয়াজেদের হুকুমের ইন্তেজার করে। বুজুর্গ হয়তো এখন তারে চইলা যাইতে বলবেন। বলবেন, যাও, আমার আরামে ব্যাঘাত ঘটাইয়ো না। কিংবা বলবেন, এখন আমার ইবাদতের সময়, এই সময় কাউরে সোহবত দেই না। কিন্তু উনি চুপ থাকেন; বৃক্ষের মতন গম্ভীর, যার ঘন ছায়াতলে শীতল শান্তি মেলে। পাশেই কোনো একটা ঝোপ থেকে একটা অচেনা পাখি ডাইকা যায় চি—চুক—চুক—চুক। আজব এক ডাক—থামা থামা, কর্কশ; যেন সে কিছু সমঝাইতে চায়, কিন্তু শোনার মতন কেউ নাই। জিনেদের কথা স্মরণ আসে নুরার। মজিদের হুঁশিয়ারি মনে পড়ে।
‘এই মসজিদে কখনো জিনেরা থাকতেন?’ নিচু গলায় জিগেশ করে নুরা। অচেনা পাখির রহস্যজনক ডাকে তার ঘুমন্ত ভয় জাগ্রত হয়।
‘এইখানে কোনো জিন নাই। থাকলেও আমারে দেইখা এলাকা ছাড়ছে।’ ফখরের সহিত বলে ওয়াজেদ।
‘কিন্তু হাবেলিতে তো ভূত আছে। গাঁয়ের মানুষেরা ওইখানে এক আওরতরে নাঁচতে দেখছে। এক মরদরে জোরে জোরে হাসতেও শুনছে।’
‘নাদানের দল সব! এরকম কিছু না। যারা একবার মরেন তো মরেন, উনারা আর ফেরত আসেন না।’
‘আগে নারীরা ওইখানে ফুল তুলতে যাইত। কিন্তু মেলাদিন ধইরা আর যায় না।’
‘সেটা তাদের মর্জি। ওইখান দিয়া একটা রাস্তা গ্রামের দিকে চইলা গেছে। হাসিতামাশার শব্দ ওদিক দিয়াও আসতে পারে। যাক, চিন্তা কইরো না, আমি তোমার স্বামীর ফেরত আসার জন্য দোয়া করব।’
‘সত্যি বলতেছেন সাঁইজি? সত্যি দোয়া করবেন?’ আনন্দে আপ্লুত হইয়া নুরা ওয়াজেদের হাত ধইরা বসে। পরক্ষণেই সে ভুল বুঝতে পারে এবং বিব্রত হইয়া হাত গুটাইয়া লয়।
জীবনের প্রথম কোনো নারীর স্পর্শ। এক অপ্রস্তুত অনাহুত উষ্ণতা বান ডাকে ওয়াজেদের দেহে। আপন ধৈর্যের বাঁধ ভাইঙা যাইতে দেখে ওয়াজেদ। একটা চিরল স্রোত বইতে থাকে কোথাও, অভিশপ্ত ক্ষরণ। জোয়ানির গরম খুনে ভাইসা যাইতে থাকে তার এতকালের সংযম। ব্যর্থ হয় তার সমস্ত দমন, রুহের শাসন আর সামাজিক পদমর্যাদার বারণ। সামনে দাঁড়ানো দীর্ঘকায় এক নারী, তার মৃদুমতন খোলা ঠোঁট, দ্বিধাজড়ানো চাউনি আর তার নিজের এতদিনকার দমিত পিয়াসি প্রবৃত্তির ডাক—এক বিনাশী আগুন জ্বালাইয়া দেয় আত্মায়, যার লকলকাইয়া ওঠা শিখাগুলিরে সে চাইলেও দমাইতে পারে না।
চোখ বুইজা ফেলে ওয়াজেদ। খানিকক্ষণ পর যখন চক্ষু খোলে, তখন মসজিদের বন্ধ দরজা থেকে কোরআনের কতিপয় আয়াত ভাইসা আসে, যেগুলি সে মুখস্থ করছিল। তার মনে হয়, মসজিদ থেকে কে যেন তারে ডাকে, রুক যাও.. রুক যাও.. মহিলারে চইলা যাইতে বলো.. কিন্তু ওয়াজেদ এখন এইসব থেকে বহু দূরে। তার উত্তাল শ্বাসপ্রশ্বাসের তুফানে চাপা পড়ছে সমস্ত গায়েবি আওয়াজ। নিষ্ফল হইছে এতদিনকার সমস্ত সাধনা প্রার্থনা আর রিয়াজত-মুজাহাদা।
‘আচ্ছা, এখন আমি যাই’, শঙ্কিত গলায় বলে নুরা; যেন সে টের পাইয়া গেছে যে কী ঘটতে যাইতেছে।
সাদা কুর্তা আর সাদা লুঙ্গি পরিহিত এক পুরুষ দাঁড়াইয়া আছে তার সামনে। উশকোখুশকো চুলগুলা তার এলোমেলোভাবে পইড়া আছে ঘাড়ের ওপর। দাড়িগুলাও আলুথালু। বিস্ফোরিত নয়নে চাইয়া আছে সে। উন্মত্ত সেই চাউনি—নুরা ভয় পায়।
‘তুমি এই হাবেলির পথ ধইরা যাও, বৃক্ষের ছায়া পাবা।’
‘কিন্তু ওইখানে তো..’
‘কিন্তু কী? আমি যাইতেছি তোমার সাথে। মন্দ আত্মার কবল থেকে তোমারে বাঁচাব আমি’, বলতে বলতে নুরার কাঁধে হাত রাখে ওয়াজেদ। তার আবেগে ধরে আসা গলায় হুকুমের সুর। কাঁধের ওপর শক্ত হয় থাবার আঁটুনি। নুরারে হাবেলির দিকে টানতে থাকে সে।
নুরার চোখে ওয়াজেদ পবিত্র মানব, পির-মুরশিদ পর্যায়ের, দরবারে এলাহি তক যার পৌঁছ। পবিত্রতার আধার সে, যার সোহবত গুনাহ মাফের ওসিলা। বাধা দেয় না নুরা। উভয়ে হাবেলির সামনে আইসা দাঁড়ায় হন্তদন্ত।
বিরান হাবেলি। বহু আগেই ধইসা পড়ছে দালানঘর আর বারান্দার ছাদ। সামনের প্রশস্ত উঠানে ঘাসগুল্ম বাইড়া উঠছে বেপরোয়াভাবে। বৃক্ষের শরীরে লতাইয়া উঠছে জুঁইয়ের শাখা। শিউলি গাছগুলির মাঝেমধ্যে দাঁড়াইয়া রইছে গোলাপের চারা। এখানে-ওখানে ফুইটা আছে লাল গোলাপ। ফুলগুলি রাতে মৃদুমন্দ হাওয়ার দমকে সুবাস ছড়ায়। কিন্তু এখন এই দুপুরের কঠিন গরমে ঝলসে গেছে সব।
অবশ্য ওগুলা শুধু পার্শ্বচরিত্র হিসাবেই থাকে। অন্যপাশে বৃক্ষের ছায়াতলে ওয়াজেদ নুরারে ঘোরতরভাবে সংলগ্ন করে, সংযুক্ত করে ও সম্মিলিত করে। পরক্ষণেই জ্বলন্ত আগুনের ছ্যাঁকা খাইয়া পিছু হটে ওয়াজেদ। নুরা কোল থেকে তার ঘুমন্ত কন্যারে খইসা পড়তে দেয় এবং ওয়াজেদরে নিয়া শবদেহের মতন আছড়াইয়া পড়ে ঘাসে। মদমত্ত হওয়া সত্ত্বেও সে বোঝে, ওয়াজেদ অনভিজ্ঞ পুরুষ। পুরুষের পুরুষত্বরে নারীর নারীত্বের মাঝে কীরূপে নিহিত করা লাগে, তা তার অজানা। নুরা তার পুরুষের জন্য সব আসান কইরা দেয়। অকস্মাৎ অজানিতভাবে ওয়াজেদ এক ভিন্ন জগতে প্রবিষ্ট হয় এবং আপন বাহুমাঝারে আবিষ্কার করে এক প্রমত্তা নারী ও তার উৎসমুখ ও জীবনের ঝরনাধারা, যেখানে তার কামনার অগ্নিশিখাগুলি ঘন নিবিড় পরশে পরশে অপার্থিব সুখের মতন তরঙ্গায়িত হয় শরীরে। বছরের পর বছরের আজন্ম পিপাসা, অগুনতি দিবারাত্রির বঞ্চনা আর যাতনাকর পীড়ন পরিবর্তিত হয় আনন্দঘন জোয়ারে। অতঃপর ঝড় শান্ত হয়। সেই লীলা সমাপ্ত হয় যার গতিপ্রকৃতি ওয়াজেদ কখনো কল্পনাও করে নাই।
মর্ত্যে নামে ওয়াজেদ। ঘর্মাক্ত নাভিশ্বাসী দুপুর ঝিমাইয়া আসে। শীতল নরম ঘাসের শয্যা সবুজ গন্ধ ছড়ায়। বাহুবন্ধনে সমর্পিত তৃপ্ত নারীরে হঠাৎ খুব আপন ভাবে ওয়াজেদ। রমণীর কপালের চুলগুলা সে আলতোভাবে সরায়। আঙুলগুলিরে অনুমোদন করে তার গালে কপালে নাকে আর ঠোঁটের এলাকায়। এই স্পর্শে আনন্দ আছে, না-বলা এক মায়া আছে, আজীবন ওয়াজেদ যার তালাশ করছে; এক পূর্ণতার দিশা আছে, যার সন্ধানে হরদম সে বেচাইন হইয়া থাকছে।
নুরা পয়লা ওয়াজেদরে আবৃত করে অতঃপর নিজেরে। উইঠা বসে ওয়াজেদ। নুরা ওইভাবেই শুইয়া থাকে, হাত-পা ছড়াইয়া, চোখ মুদে মুদে আসে তার। ধীরে ধীরে চোখ খোলে সে। অবাক হইয়া তাকায় ওয়াজেদের চেহারায়। সেখানে যে তৃপ্তির আভাস দেখে, যে খুশির নীরব প্রকাশ দেখে, তা আনোখা লাগে তার কাছে। পুরুষ মানুষের চেহারার রং যে এরকমও হইতে পারে তা জানা ছিল না তার।
নুরা খুশির পলগুলিরে ধইরা রাখতে চায়, বহন করতে চায় নীলাভ শিরা-উপশিরায়, যেগুলি রক্তে উন্মাদনার জোয়ার তোলে, শরীর থেকে শরীরে সঞ্চারিত হয়।
দুয়ারে পাষাণ তালা (সপ্তম কিস্তি)
পরবর্তী কিস্তি কি আর আসবে না?