দুয়ারে পাষাণ তালা (তৃতীয় কিস্তি)
‘আমি নীচ অওরত, গুনাহগার। গোয়ালঘরে গোবর সাফ কইরা আমার দিন কাটে। আমি মসজিদে এবাদত করতে পারি না।’
‘খোদার চোখে কেউই নীচ না। গুনাহ কে না করে? খোদা মাফ কইরা দেন। তার চোখে সবাই সমান। তুমি গরু-মহিষের দেখভাল করো। মানুষ ওগুলার দুধ খাইয়া বড়ো হয়; ওগুলার মাংস খাইয়া শক্তিমান হয়। তাদের দেহে লহুধারা বইয়া চলে; ছলকাইয়া ওঠে প্রাণের জোয়ার। তুমি আমাদের সবার মতোই একজন মানুষ।’
চঞ্চল হইয়া ওঠে ওয়াজেদ। পোলাও-কোরমামাখা আঙুলগুলা চাটতে থাকে দ্রুত—ধাতস্থ হইতে চায়। সে ভুল কিছু বলে নাই। যা বলছে, সাচ্চা দিলে নিষ্ঠার সহিত বলছে। এতকাল ধরে তার রুহু যেন অসাড় জড়বস্তু; যেন কোনো শীতের কালো অমাবস্যার রাতে কুয়াশার নিচে আচ্ছাদিত। কিন্তু আজ সেখানে বসন্তের বাতাসের টানে জোনাকির দল মৃদু মৃদু উড়তেছে আর মনের পাশে ভিড় জমাইতেছে গহিনের যত শখ স্বপ্ন আশা বাসনার দঙ্গল।
নুরা খুশি হয়। সেও গুরুত্বপূর্ণ, তার অস্তিত্বেরও দাম আছে—শুইনা সে মুসকারায়। ঝলক দিয়া ওঠে তার সফেদ দন্তশ্রেণি।
‘কলসটা কোথায়, বলেন। আমি পানি নিয়া আসি।’
ওয়াজেদ কুঠুরির দিকে ইশারা করে। নুরা সেখান থেকে অ্যালুমিনিয়ামের গেলাসে পানি ভইরা নিয়া আসে এবং ওয়াজেদের সামনে পানির গেলাস রাইখা আদববশত দাঁড়াইয়া থাকে। ওয়াজেদ এখনও খাইয়া যাইতেছে দ্রুত। তার মুখ থেকে আওয়াজ বেরোইতেছে চপচপ। নুরা ভাবে, সেও এইভাবেই খায়। মাথা ঝুঁকাইয়া মুখে লোকমা নিয়া যাওয়া, আঙুল দিয়া প্লেট কাইচা আনা, এরপর সেই আঙুল চাইটা খাওয়া—খাওয়ার সময় এগুলাই করে সে। নিজের সাথে ইমামের মিলগুলা কল্পনা করতে ভালো লাগে তার।
খানা শেষ কইরা ওয়াজেদ পানি পান করে। মৃদুস্বরে শুকরিয়া আদায় করে। তৃপ্তির আবেশে চোখ বুইজা রাখে কিছুক্ষণ। এরপর চোখ খোলে। মাত্র খাইয়া ওঠা সুস্বাদু খাবার, পাশেই দাঁড়াইয়া থাকা জোয়ান অওরত, আর এই নির্জন নিশুতি রাতের পরিবেশ—এক আনজান আবেগে ভইরা ওঠে তার মন। সে বুইঝা পায় না, এখন তার কী বলা উচিত।
নুরা চুপচাপ দাঁড়াইয়া আনমনে ঝুটা বরতন গোছায়। লন্ঠন হাতে কোত্থেকে যেন উদয় হয় নুরার সঙ্গে আসা বালকটা। নুরা তার হাতে ঝুটা বরতন তুইলা দেয় এবং বাচ্চা কোলে ক্রমশ বিলীন হইতে থাকে ঘন বৃক্ষরাজির অন্ধকারে, কোনোরকম উপসংহার ছাড়া; না একটা সালাম, না আলবিদার কোনো শব্দ তার মুখ দিয়া বাহির হয়। সে যদি কিছু বলতে চায়ও, শত চেষ্টার পরেও তার শব্দমালা অব্যক্তই থাইকা যায়, এতকালের হাজারো অবদমিত বাসনার মতন, যা তার আত্মায় জাগ্রত হইয়া আত্মার মাঝেই সমাহিত হয়। মসজিদের সীমানা পার হওয়ার সময় তার চোখ থেকে দুই ফোঁটা আঁসু গড়াইয়া পড়ে। নুরা এর কোনো কারণ খুঁইজা পায় না।
নুরার যাওয়ার পথে অপলক চাইয়া থাকে ওয়াজেদ। কী যেন এক সুখের বদল আসছে তার জীবনে। কোথায় যেন মিলাইয়া গেছে একাকিত্বের কুয়াশারা। কিছু সময়ের জন্যই সই, কিছু একটা তো ঘটছে, হঠাৎ এবং না চাইতেই। রাতের এই প্রহরে নফল পড়ার পর সে মুরাকাবায় নিমজ্জিত হয়। চোখ বন্ধ কইরা হারাইয়া যায় কোনো অচেনা জগতে, যেখানে সে খুঁইজা ফেরে অপার্থিব সেই জ্যোতি, যার রওশনে দুনিয়া আলোকময়। তার বিশ্বাস, আজ না হোক কাল, ওই জ্যোতির দেখা মিলবেই। এই ভরসাতেই শান্তি। কিন্তু আজ কেমন এক আলস্যের টান লাগছে দেহমনে। এবাদতের জন্য পইড়া আছে সারারাত। খোদা সর্বদাই মওজুদ আছেন। যখন দিল চায়, তার তালাশে মগ্ন হওয়া যায়।
ওয়াজেদ কুঠুরি থেকে চারপায়া বাহির করে এবং শরীর ফেইলা দেয় বিছানায়। শুইয়া পড়ে আসমানের দিকে মুখ কইরা। তার রুহের জগতে উথালপাথাল সব ভাবনার ভিড়। দূর আসমানে আবারও জাইগা উঠছে তারার গরদিশ, কুয়াশার মতন নিবিড় ছায়াপথ; মেঘ সরাইয়া আবারও হাসতেছে চাঁদের কিরণ; আর বাচ্চা কোলে নুরার ফিরা যাওয়ার রেশ এখনও কাটাইতে পারে নাই নিশুতির মৃদুমন্দ হাওয়া।
***
নুরা আপন কুঠুরিতে ফিরা আসে। মজিদ নিজ ঘরের সামনে খাট পাইতা নাক ডাইকা ঘুমাইতেছে। কম্পিত হস্তে দরজা খোলে নুরা। খিড়কির শব্দে চমকে উঠে খাড়া হয় তার বকরি। বিড়ালটা লাফ দিয়া ছুইটা আসে বিছানাপত্রের ওপর থেকে, নুরার দুই পায়ের ফাঁক গলে আসা-যাওয়া করে, গা ঘষে ঘষে জানান দেয় আহ্লাদ।
নুরার জন্ম, বেড়ে ওঠা এই কুঠুরিতেই। ছোটোকাল থেকেই সে এই প্রাণীগুলার সাথে থাইকা আসতেছে। তাদের গায়ের দুর্গন্ধ সইয়া গেছে তার।
কুঠুরির দরজা খোলাই রাখে নুরা। মেয়েরে চারপায়ার ওপর শোয়ায়, কপালে চুমু খায় একটা। নিজেও শুইয়া পড়ে তার পাশে। চেষ্টা করে ঘুমানোর।
কোথায় যেন হারাইয়া গেছে ঘুমের দেশ, নুরা তার নাগাল পায় না। মসজিদ থেকে কে যেন তারে ডাকে। সেই আওয়াজ সরীসৃপের মতন বুকে ভর দিয়া আগাইয়া আসে সন্তর্পণে। ঘাপটি মাইরা লুকাইয়া থাকে দরজার ওপাশে। ভয়ে ভয়ে নুরা দরজার দিকে তাকায়। কেউই নাই ওইখানে। দুয়ারের বাইরে নিথর এক দুনিয়া। হাবেলির সামনের নিমগাছটা দাঁড়াইয়া আছে জমাট অন্ধকারে, নির্বাক। চোখ মুদে আসে নুরার। খানিক বাদেই আবার চোখ খুইলা যায়। ভাঙা ভাঙা ঘুমের ভিতর দিয়া রাত পার করে সে।
***
পুব আকাশে গোলাপরাঙা আভায় জাইগা উঠতেছে সুবহে সাদিক। ক্ষীণ হইয়া আসতেছে শেষ প্রহরের শুকতারা। খোলা দরজা দিয়া শবনমি হাওয়া আসতেছে ঘরে। নুরার চুলগুলারে মৃদু মৃদু নাড়াইতেছে তার গালে গলায় ঠোঁটে আর কপালে।
চোখ খুইলা যায় নুরার। মসজিদ থেকে উচ্চকিত হইতেছে ফজরের আজান। তার সুরের যে মিঠাস আর মূর্ছনা, তাতে বোঝা মুশকিল না যে এইটা ওয়াজেদের আজান। ইমাম ওয়াজেদ সবাইরে নামাজের জন্য ডাকতেছেন। পবিত্র সেই আহ্বানে উথলাইয়া ওঠে নুরার হৃদয়মন। দ্রুত বিছানা ছাইড়া সে জরুরত থেকে ফারেগ হয়। অজু কইরা একটা পাকসাফ চাদর বিছাইয়া নামাজে দাঁড়ায়। বিড়বিড় কইরা কালেমা পড়ে, আল্লাহর নামের জিকির করে। সে না জানে কোনো সূরা, না জানে নামাজের নিয়মকানুন। কিন্তু খোদার জিকিরের মধ্যে সে ওই লজ্জত[1]স্বাদ অনুভব করে, যা পাওয়া যায় নামাজে, কোরআন তেলাওয়াতে। অন্যদের যেভাবে নামাজ পড়তে দেখছে, সেভাবে ওঠবস কইরা নামাজ শেষ করে নুরা। এবাদত থেকে ফারেগ হওয়ার পর তার মনে হয়, মাথা থেকে বিরাট কোনো দায়িত্ব নাইমা গেল। কী যেন গুনগুনাইয়া গায় সে, কোনো অসমাপ্ত গানের কলি, কোথায় যেন শুনছিল। খুঁটায় বান্ধা বকরিটারে চরে খাওয়ার জন্য বাইরে ছাইড়া আসে। একটা মাটির পাত্রে দুধ ঢাইলা বিড়ালটার সামনে রাখে। তারপর ঘুমন্ত বাচ্চারে কোলে নিয়া হাবেলির দিকে পা বাড়ায়।
মালিক জহিরের হাবেলি থেকে খানিক দূরেই দেখা যায় মসজিদের সুদৃশ্য গম্বুজটা মাথা জাগাইয়া দাঁড়াইয়া আছে আলোঝলমল সকালে। বাতাসের ঝাপটায় উথালপাথাল হইতেছে নিমের ডালপালা। সবুজ পাতাপল্লবের মধ্যে যে এত তাজা সুবাস আছে, তা নুরা আগে কখনো অনুভব করে নাই।
২.
মসজিদের উঠানে বিরাট এক অশ্বত্থ গাছের নিচে দাঁড়াইয়া আছে মজিদ। তার মেজাজ খারাপ। কড়া চোখে বিদ্ধ করতেছে গাছের ওপরে ওঠা দুই চাকররে, এই ডাল থেকে ওই ডালে কী যেন খুঁজতেছে ওরা।
‘দুনিয়ার সব অগা-অকর্মা দেখি আমার ভাগ্যে জুটছে। সেই মোগল আমল থেকে গাছে চইড়া আছে, একটা পেঁচা খুঁইজা পাইতেছে না। ওই জাহান্নামি পক্ষীটা এই ভরা দিনের বেলায় যাবেটা কই? তোরা কি পুরুষ? একটা পেঁচাপক্ষী খুঁইজা পাস না। ছোটোবেলায় মায়ের আঁচল কেমনে খুঁইজা পাইতি?’ মজিদ চিল্লায়।
বিরাট বৃক্ষ। ঘন শিকড়ের মতন জটিল ডালপালা দশদিক ছড়াইয়া একদম মহিরুহ হইয়া উঠছে। জাহান্নামি পক্ষী এই বিশাল সাম্রাজ্যের যেকোনো খানে অনায়াসে ঘাপটি মাইরা থাকতে পারে।
সূর্য চইড়া উঠছে। ভ্যাপসা গরমে সিদ্ধ হইতে হইতে অশ্বত্থের এই ডালে ওই ডালে পেঁচা খুঁইজা মরতেছে দুই দুর্ভাগা ইনসান; ঘামে গোসল করতেছে অবিরত। তাদের জবানেও গালি, যেগুলা তারা বিড়বিড় কইরা মজিদের উদ্দেশে নিবেদন করতেছে জিহ্বার তলদেশ থেকে: ‘তারছিঁড়া বুইড়া, এতই যখন গলাবাজি তো ওপরে আয় না! এমন লাত্থি মাইরা নিচে ফালাব, খুপড়ি ভাইঙা তিন ভাগ হবে।’ আরেকজন বলে, ‘মাগনা খায় তো, কাজকাম পায় না। হুক্কা টানে আর উল্লু খোঁজে। আরে, উল্লু কি তোর বউ নিয়া ভাগছে? আর এই মরার উল্লুটা গেল কই?’
ওয়াজেদ তার কুঠুরির সামনে চাতালে বইসা গ্রামের ছেলেমেয়েদের কোরআন পড়ায়। তার চোখা দৃষ্টি মজিদের দিকে। মজিদের চিল্লাচিল্লিতে কৌতুক বোধ করতেছে সে। আচানক ওয়াজেদের চোখ পড়ে অশ্বত্থের এক উঁচু ডালে। পরিষ্কার দেখে, ডালে বইসা আছে এক ধূসররঙা উল্লু। কী করবে একমুহূর্ত ভাবে ওয়াজেদ। তার নিকটেই বইসা আট বছরের একটা ছেলে সেই কখন থেকে বারংবার একটা পড়া রটতেছে, কিন্তু কোনোমতেই বাগে আনতে পারতেছে না। গ্রামের ডানপিটে ছেলে। নিয়ম রক্ষার্থে মক্তবে আসা-যাওয়া ছাড়া পড়াশোনায় বিশেষ কোনো আগ্রহ নাই। তার পাঞ্জাবির পকেট থেকে এমনকি এখনও উঁকি দিতেছে একটা গুলতির ফিতা। গুলতি লইয়া মক্তবে আসার অপরাধে অন্যদিন বকলেও আজ তারে কিছু বলে না ওয়াজেদ। শান্ত গলায় ছেলেটার কাছ থেকে বাঁটুল আর গুলতি চাইয়া লয়। মহা উৎসাহে উস্তাদরে সেগুলি অর্পণ করে সে।
ওয়াজেদ গুলতি তাক করে উল্লুর দিকে। তার দাঁতমুখ শক্ত, ঠোঁটে ঠোঁট চাপা, চোখে শিকারির চাউনি। বাচ্চারা তাদের উস্তাদের এইরকম শক্ত চেহারা আগে কখনো দেখে নাই। তারা রুদ্ধশ্বাসে তাকাইয়া থাকে ওয়াজেদের দিকে। গুলতির গুলি বিজলির বেগে ছুইটা যায়। পরক্ষণেই দেখা যায়, জঘন্য উল্লুটা মজিদের কদম মোবারকে পইড়া আছে মৃত। তার চোখে নির্জীব অসাড়তা। মজিদ আঁতকে ওঠে। নিজের চোখরে বিশ্বাস করতে পারে না সহসা। খানিক বাদে ধাতস্থ হওয়ার হওয়ার পর চিল্লায়: ‘আরে বেকুবের দল, এখন আবার কী খুঁজতেছস? এই দেখ, অপয়া উল্লুটা আমার পায়ের কাছে পইড়া আছে, মুর্দা।’ মজিদ জোশের সহিত গাছের ওপরে থাকা দুই চাকররে হাত তুইলা ডাকে।
‘কী! মুর্দা?’ দরখতের ওপর থেকে একজন চিল্লায়ে ওঠে।
‘জব্বর কারামত দেখাইলেন গো চাচা। বহুত আল্লাহওয়ালা ইনসান আপনে। মনে মনে যা চান, তাই আল্লাহ পুরা কইরা দেন। আমরা হইতেছি গুনাহগার বান্দা, এইসব বোঝার সাধ্য কী আমাদের,’ বলে অপরজন। সোৎসাহে দরখত থেকে লাফাইয়া নামে তারা।
ঝুটলানোর দরকার হয় না মজিদের। পেঁচাটা তার ধূসরবরণ দুই ডানা দিয়া সিনার জখম ঢাইকা রাখছে। শুকরিয়ার চোখে আসমানপানে চাইয়া থাকে মজিদ। তার অশ্রুটলমল চক্ষু জ্বালা করে বেশ।
‘মাবুদ গো, তোমার অশেষ দয়া। এই গুনাহগার বান্দারে তুমি একা ছাড়ো নাই।’ মাথা নামাইয়া বলে মজিদ। আবেগের আতিশয্যে সেজদায় পইড়া যায়। তার চোখে অশ্রুর ঢল। তুচ্ছতা প্রকাশে খরখরে মাটিতে ঘষে মাথা।
‘খোদা তোমার অশেষ দয়া। এই গুনাহগাররে তুমি শুনছ। এই অপয়া উল্লুটারে মারার কথা আমি এখনও ভাইবা সারি নাই, তার আগেই তুমি এই ফকিরের ইজ্জত রাইখা নিলা!’
খোদা তারে আপন দয়ায় শামিল করছেন—এই খুশিতে অনেকক্ষণ আঁসু বহায় মজিদ। পাশেই দাঁড়াইয়া থাকে তার দুই চাকর। তাদের মুখে রা সরে না। খানিক বাদে মাথা ওঠায় মজিদ। আস্তিনে চোখ মোছে। মরা উল্লুটা হাতে নিয়া খাড়া হয়। ‘আয় এইটারে দাফন করি,’ বইলা হাঁটা ধরে মজিদ। পিছে পিছে আসে তার দুই চাকর। ওয়াজেদের চাতালের কাছে যখন তারা আসে, গুলতিওয়ালা ছেলেটা মুখ উজ্জ্বল কইরা বলে: ‘এই যে সেই উল্লু.. আমাদের ইমাম সাব মারছেন এইটারে।’
‘কী?’ মজিদ চমকায়। কেউ যেন কষে থাপ্পড় বসাইছে তার গালে।
‘আমি সত্যি বলতেছি। ইমাম সাহেব আমার গুলতি দিয়া মারছেন এইটারে। এই যে এরা দেখছে।’ আপন উস্তাদের কীর্তি সে গর্বের সহিত দোহরায়। সমর্থনের চোখে তাকায় সহপাঠীদের দিকে।
দুয়ারে পাষাণ তালা (পঞ্চম কিস্তি)
তথ্যসূত্র:
↑1 | স্বাদ |
---|