ইসলামের অন্তর্ভুক্তিমূলকতা সংক্রান্ত আলাপন ও একটি প্রস্তাবনা

আরমান

আবির্ভাবের এত যুগ পরেও ইসলাম যে প্রাসঙ্গিক, তার অন্যতম কারণ, ইসলাম অন্তর্ভুক্তিমূলক। এই অন্তর্ভুক্তিমূলকতার ফলে ইসলাম পদ্ধতিবদ্ধভাবে ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে সৃজনশীল হইতে পারে এবং স্থবিরতা থেকে মুক্ত থাকতে পারে ও রাখতে পারে অনুসারীদের, যদি তারা বিষয়টা বোঝে এবং আমলে আনে।

গায়রে মাঅকুল বা যুক্তি-ঊর্ধ্ব ইবাদতগুলির ক্ষেত্রে ইসলামের বক্তব্য হইল, যা যেভাবে করতে বলা হইছে, তা সেভাবেই করা লাগবে, কমবেশি করা যাবে না। এক্ষেত্রে ইসলাম নির্ধারিত কাঠামো দিছে। আপনি এক রাকাতে তিনটা সেজদা দিতে পারবেন না। ফজরের নামাজ তিন রাকাত বানাইতে পারবেন না। আর কোনো ইবাদতের পদ্ধতির ক্ষেত্রে একাধিক রূপ মিললে সেটাও ‘নির্ধারিত কাঠামো’র অন্তর্গত এই অর্থে যে, আপনি ওই একাধিক রূপের বাইরে নতুন কোনো রূপ আবিষ্কার করতে পারবেন না। মানে, এক্ষেত্রে ‘করণীয়’ বলা হইছে এবং বাকি সবকিছুকে ‘বর্জনীয়’ ঘোষণা করা হইছে।

আর গায়রে মাঅকুল ইবাদতগুলি ছাড়া বাকিসব মাঅকুল বা বুদ্ধিগত বিষয়ে ইসলাম ‘বর্জনীয়গুলি’ বইলা দিছে এবং বাকি সবকিছুকে অনুমোদন করছে। এখানেই আলাপ। তবে তার আগে একটা প্রশ্ন : গায়রে মাঅকুল বিষয়ের ক্ষেত্রে ইসলামের এরকম নির্ধারিত কাঠামোদানের যৌক্তিকতা কী এবং মাঅকুল বিষয়ের ক্ষেত্রে ইসলামের কাঠামো নির্ধারণ না কইরা দেওয়ার যৌক্তিকতা কী? 

প্রথমত, গায়রে মাঅকুল ইবাদতগুলির ক্ষেত্রে ইসলাম যদি সবকিছুকে অনুমোদন করত, তাহলে ইবাদতের কাঠামোই দাঁড়াইত না। দ্বিতীয়ত, এই ইবাদতগুলি এমন কতক অনুশীলন, যা দেশ ও কালের বিচারে উত্তীর্ণ; দেশ ও কালভেদে তাতে বদল আনার কোনো দাবি যৌক্তিক হইয়া উঠবেই না, কারণ তা তো এমনিতেই গায়রে মাঅকুল বা যুক্তির ঊর্ধ্বেকার বিষয়। এটা কোনো যৌক্তিক দাবি না যে, যেহেতু সময়টা দুই হাজার ছাব্বিশ এবং স্থানটা প্রিন্সটন, সুতরাং এশার নামাজ দুই রাকাত করা হউক। সুতরাং এটাকে অপরিবর্তনশীল ও অন-অন্তর্ভুক্তিমূলক ও একক কাঠামোর মধ্যে রাখাটাই ঠিক আছে।

বিপরীতে, এই গায়রে মাঅকুল ইবাদতগুলির বাইরে, এমন অসংখ্য মাঅকুল ও বুদ্ধিগত বিষয় আছে, যেগুলি আগাগোড়া বাতলাইয়া দেওয়ার মতন কোনো বিষয় না, যেগুলির একক কোনো রূপ নাই, যেগুলি মানুষের অভিজ্ঞতা পরিবর্তনের সাথে সাথে নিয়ত পরিবর্তন দাবি করে, যেগুলি মানুষের সৃজনশীলতার ক্ষেত্র এবং যেখানে একক রূপ দাঁড় করানোই বরং সমস্যা। ইসলাম এই বিষয়টাকে চিহ্নিত করছে এবং তার অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রস্তাবনা নিয়া হাজির হইছে। 

মাঅকুল বিষয়ে ইসলাম, যেমনটা ওপরে বলা হইল, ‘করণীয়’-র আলাপ করতেছে না, বরং তুলতেছে ‘বর্জনীয়’-র আলাপ। এভাবে, এক্ষেত্রে, ইসলাম নিজেকে ‘করণীয়’ নামক একক রূপের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা থেকে, সংকীর্ণ ও আবদ্ধ করা থেকে, মুক্ত রাখতেছে, ব্রড রাখতেছে, এবং ওই ‘বর্জনীয়’-র বাইরে সবকিছুকেই অনুমোদিত ও অন্তর্ভুক্ত করতেছে। এক্ষেত্রে ইসলাম অন্যসব মতবাদের চাইতে উদার ও প্রশস্ত।

যারা গায়রে মাঅকুল ইবাদতের মতো কইরা মাঅকুল বিষয়েও ইসলামের কাছ থেকে একক কোনো রূপ চান, অন্যসব মতবাদের মতো কইরা একটা ‘একক কাঠামো’ দাবি করেন, তারা ইসলামের প্রশস্ততাকে সংকীর্ণ করতে চান এবং নিজেদের ওপর অযথা কাঠিন্য আরোপ করেন। আল্লাহ এরকম কাঠিন্য আরোপ করেন নাই বরং মানুষই আল্লাহর ওপর মিথ্যা আরোপ করছে। 

যেমন হিসাবে ধরা যাক রাজনীতি। রাজনীতির ক্ষেত্রে আল্লাহ কতক মূলনীতি বাতলাইয়া দিছেন। এগুলি ভাঙা যাবে না। এগুলি না ভাইঙা উদ্ভাবিত যেকোনো রাজনৈতিক মডেলই ইসলামি রাজনৈতিক মডেল এবং শর্তসাপেক্ষে খেলাফতের আওতাভুক্ত। ওই উসুলগুলিকে সামনে রাইখা ফকিহরা নানারকম মডেলই ইজতিহাদ করতে পারেন। সেগুলির সবই ইসলামি। ইসলামের বাইরের কিছু না বা ফকিহদের ‘আবিষ্কৃত’ কিছু না।

আবার ধরা যাক অর্থনীতি। অর্থনীতির ক্ষেত্রে আল্লাহর বাতলাইয়া দেওয়া মূলনীতিগুলি বজায় রাইখা—তথা অবশ্যই বর্জনীয়গুলি না ভাইঙা, কারণ বলার অপেক্ষা রাখে যে তা ওইসব মূলনীতিরই অন্তর্ভুক্ত—যত মডেলই হাজির করা হউক, সবই অনুমোদিত ও ‘ইসলামি অর্থনীতি’। ফকিহদের ইজতিহাদের ভিতর দিয়া উইঠা আসা মডেলগুলির ভালোত্বের মাত্রায় তারতম্য থাকতে পারে, কিন্তু ‘হারাম’ কখনোই না।

কী থেকে কী সিদ্ধান্তে আসা যায় তা বিচার করা আবশ্যক। ইসলাম অমুক বিষয়ে কোনো স্পষ্ট কাঠামো দেয় নাই, এ থেকে এই সিদ্ধান্তে আসা যায় না যে, ওই বিষয়ের অস্তিত্ব ইসলামে নাই, যখন স্পষ্ট কাঠামো না দিলেও ইসলাম মূলনীতিগুলি বলছে। অস্তিত্বই না থাকলে মূলনীতি বলার প্রয়োজন হইত না।

বরং মূলনীতিগুলি বলেছে এবং কোনো স্পষ্ট কাঠামো নির্ধারণ করে নাই, এ থেকে এই সিদ্ধান্তে আসা যায় যে, ওই বিষয়ের অস্তিত্ব ইসলাম স্বীকার করে এবং স্পষ্ট কাঠামো না দিয়া বিষয়টাকে উন্মুক্ত রাখার মাধ্যমে ইসলাম মুসলিমদের নিয়মতান্ত্রিকভাবে ও পদ্ধতিবদ্ধভাবে—তথা ওইসব মূলনীতির আলোকে—সৃজনশীল হইতে এবং প্রতিনিয়ত ইজতিহাদ ও তাজদিদ করতে বাধ্য করে। সেইসব ইজতিহাদ ও তাজদিদ থেকে উইঠা আসা সমুদয় রূপই ইসলামি রূপ এবং আল্লাহ কর্তৃক অনুমোদিত। 

এক্ষণে, মাঅকুল বিষয়ে স্পষ্ট কাঠামো নির্ধারণ না কইরা দিয়া কতক মূলনীতি (বর্জনীয়ভিত্তিক) বইলা দেওয়ার পরও, সম্ভাব্য দুইটা প্রান্তিকতার দিকে জেহেন অগ্রসর হইতে পারে। 

এক. মূলনীতিগুলিকে সামনে রাইখা প্রণীত কোনো পুরাতন কাঠামোকে হাজির করা এবং সেটাকে ‘একমাত্র’ কাঠামো হিসাবে নির্ধারণ করার মানসে আগে বাড়া এবং বাকিগুলিকে ‘অনৈসলামিক’ হিসাবে বর্জন করা।

দুই. মূলনীতিগুলিকে সামনে রাইখা কোনো কাঠামো তৈয়ারের দিকে মনোনিবেশ না কইরা—যেটা ছিল ইসলামের অন্তর্ভুক্তিমূলকতা ও সৃজনশীলতার দাবি—ভিন্ন সভ্যতার ভিন্ন মূলনীতি থেকে আসা কোনো কাঠামোর সাথে এটাকে মিলানোর চেষ্টা করা এবং এর পিছনেই যাবতীয় শ্রম ব্যয় করা। 

প্রথমটার উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ধরা যাক আমরা প্রচলিত কাগুজে মুদ্রাব্যবস্থার সমালোচনা করি কারণ তা সত্তাগতভাবে সুদের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং তা অর্থনীতির ক্ষেত্রে ইসলামের মূলনীতি তথা ‘বর্জনীয়সমূহের’ সাথে মৌলিকভাবে সাংঘর্ষিক। এখন কেউ যদি কাগুজে মুদ্রাব্যবস্থার বিপরীতে স্বর্ণরৌপ্যভিত্তিক মুদ্রাব্যবস্থাকে ‘একমাত্র’ ইসলামি মডেল হিসাবে দাবি করে এবং বাকিগুলিকে ‘হারাম’ হিসাবে বর্জন করে, তাহলে তা প্রান্তিকতা হইল, এবং নিজেদের ওপর এমন কাঠিন্য আরোপ করা হইল যা আল্লাহ আরোপ করেন নাই। 

দ্বিতীয়টার উদাহরণস্বরূপ বলা যায় ‘ইসলামাইজেশন’ প্রকল্পের কথা। বাহ্যিকভাবে মনে হইতে পারে, এই প্রকল্প ইসলামের অন্তর্ভুক্তিমূলকতা ও সৃজনশীলতা স্বীকার করতেছে। আসলে বাস্তবতা হইল, এটা ইসলামের সৃজনশীলতা ও প্রশস্ততা খুঁজতেছে ইসলামের মূলনীতির অধীনে গইড়া ওঠা কোনো কাঠামোর মধ্যে না, বরং এমন কোনো কাঠামোর মধ্যে, যা গইড়া ওঠার সময় ইসলামের মূলনীতিগুলিকে তোয়াক্কাও করে নাই এবং যেখানে আদৌ ইসলাম সৃজনশীল ও প্রশস্ত হইতে পারবে না। কারণ ইসলাম শুধু ইসলামের মূলনীতিগুলির অধীনেই বিকৃতিহীনভাবে প্রশস্ত ও সৃজনশীল হইতে পারে। কিন্তু এই প্রকল্পে শুরুতেই সেই সম্ভাবনা ইসলামের হাত থেকে দিয়া দেওয়া হইছে, বিধায় সেখানে ইসলামের হাতে সৃজনশীলতার কোনো উপাদান নাই। এজন্য এখানে ইসলাম ঠিকভাবে ফাংশন করবে না; বরং এখানে ইসলামের হাতে একমাত্র যে অপশনটা আছে তা হইল, নিজস্ব মূলনীতিগুলিকে উক্ত কাঠামোর আদলে ‘প্রচ্ছন্ন’ ও ‘নমনীয়’ কইরা তোলা ও উক্ত কাঠামোর মূলনীতিগুলির সাথে আপসে আসা ও কম্প্রোমাইজ করা; নিজের সিস্টেম্যাটিক বিকৃতি ঘটানো এবং সবশেষে উক্ত কাঠামোর অনাচারের অংশ হওয়া। 

এই দুই প্রান্তিকতার প্রথমটা মূলত আক্ষরিকতা, দ্বিতীয়টা হীনম্মন্যতা, এবং উভয়টাই এমন এক বুদ্ধিবৃত্তিক জড়তা ও অলসতা, যা ইসলামের প্রশস্ততাকে নষ্ট করে এবং এটাকে অন্যায্যভাবে অনুকরণবাদী ও নির্ধারণবাদী হইয়া ওঠার দিকে নিয়া যায়। যতক্ষণ আমরা এই দুই ধরনের প্রান্তিকতা থেকে মুক্ত হইতে পারব না, ততক্ষণ ইসলামের ভিতরকার সম্ভাবনাগুলির দিকে মনোযোগ দেওয়া ও সেগুলিকে উদ্ধার করার তাড়না বোধ করব না এবং ততক্ষণ পর্যন্ত যারাই ইসলামের চর্চা করতেছেন তাদেরকে আমরা এই দুই প্রান্তিকতার কোনো একটার দিকেই ঠেইলা দিবো এবং তা এমন এক দুষ্টচক্র, যেখানে এক পক্ষ অপর পক্ষকে শতাব্দীকাল ধইরা দোষী ও শত্রু ঠাওরাইতে থাকবে।

খুব সম্ভব এক্ষেত্রে করণীয় যা মনে হয় তা হইল, প্রত্যেক ভূখণ্ডে মুসলিমদের মধ্যকার সকল পক্ষের উলামাগণের একত্রিত হইয়া সংলাপের মাধ্যমে সর্বসম্মতিক্রমে এমন এক রাষ্ট্রকাঠামো (একেক ভূখণ্ডের বাস্তবতায় একেক কাঠামো) দাঁড় করানো ও প্রস্তাব করা, যেটা ওই উভয় প্রকার প্রান্তিকতা হইতে মুক্ত থাকবে এবং যার দিকে আসার জন্য সকল পক্ষ তার অনুসারীদের দাওয়াত দিতে পারবে। এটা করতে পারা গেলে, যে যেই পদ্ধতিতেই মেহনত করুক না কেন, তারা পরস্পরকে বুঝতে পারবে, পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগের ভাষা তৈয়ার হবে। 

অন্যথায়, এখন যা হইতেছে, একদল বিদ্যমান সিস্টেমের বাইরে দিয়া ইসলামকে রাষ্ট্রে আনার জন্য কাজ করতেছে এবং অন্যদল বিদ্যমান সিস্টেমের ভিতর দিয়া ইসলামকে রাষ্ট্রে আনার জন্য কাজ করতেছে; প্রথম দল এখন ‘দাওয়াহ’-এর পর্যায়ে আছে এবং দ্বিতীয় দল প্রচলিত পন্থায় একটা ‘কল্যাণরাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠা অতঃপর ধীরে ধীরে সেটাকে ইসলামের দিকে নিয়া আসার যাত্রায় আছে। (বৃহৎ অর্থে উভয় দলই বিদ্যমান সিস্টেমের ভিতরে থাইকা ফাংশন করতেছে যেহেতু তারা অ-সশস্ত্রতার পর্যায়ে আছে)। কিন্তু কারও সামনে কোনো রাষ্ট্রকাঠামো নাই বা থাকলেও তা ওই উভয় প্রকার প্রান্তিকতা থেকে মুক্ত না। অথচ উভয় দলের প্রকল্পই ব্যর্থ হইয়া যাবে, স্থবির হইয়া যাবে, গতানুগতিক হইয়া যাবে, অন্তঃসংঘাতময় হইয়া যাবে, এবং তাদের পয়গাম একগুচ্ছ ‘মুখস্থ কথায়’ পর্যবসিত হবে যা ধীরে ধীরে মানুষকে দূরে সরাবে, যদি না তারা প্রান্তিকতামুক্ত কোনো রাষ্ট্রকাঠামো জনতার সামনে প্রস্তাব করতে পারে, যার অধীনে মানুষ আসতে চাইবে। এবং এক্ষেত্রে তা সকল পক্ষের সম্মতিক্রমে ও সম্মিলিতভাবে হইতে হবে, কারণ এককভাবে প্রথম প্রকার প্রান্তিকতার হাতে রাষ্ট্রকাঠামো প্রণয়নের দায়িত্ব দিলে সে নিজ ভূখণ্ডের বাস্তবতা আমলে নেওয়ার পরিবর্তে অন্য ভূখণ্ডের মুখস্থ কাঠামো কপিপেস্ট করতেই বেশি আগ্রহী থাকবে, ঠিক একই কাজ করবে দ্বিতীয় প্রকার প্রান্তিকতাও, বরং সে কাজটা করবে আরও নিকৃষ্ট প্রকারে। নিকৃষ্ট এই বিচারে যে, প্রথম প্রকার প্রান্তিকতা তো তাও নিজেদের দেখাদেখি, নিজ সভ্যতারই একাংশের দেখাদেখি রাষ্ট্রকাঠামো নকল করতেছিল, কিন্তু এই দ্বিতীয় প্রকারের প্রান্তিকতা যেই রাষ্ট্রকাঠামোকে—তার ভিতরে ইসলামকে কপিপেস্ট করার জন্য—আমদানি করবে তা হবে ভিন্ন সভ্যতার।

মোটকথা, রাষ্ট্রকাঠামো অ-জরুরি না, নিজ নিজ ভূখণ্ডের বাস্তবতায় তা প্রণয়ন করা উচিত এবং উসুলের আলোকে তা অব্যাহত বিচার-পর্যালোচনার ভিতরে রাখা উচিত যাতে তা স্থবির না হইয়া পড়ে। যা অনুচিত তা হইল, একক কোনো কাঠামোকে আল্লাহ কর্তৃক ‘সুনির্ধারিত’ হিসাবে দেখানোর মাধ্যমে দ্বীনের প্রশস্ততা নষ্ট করা এবং ইসলামের গর্ভ হইতে উৎপন্ন না এমন কোনো কাঠামোর ভিতরে ইসলামকে ঢুকানোর মাধ্যমে দ্বীনের প্রশস্ততা ও মৌলিকতা নষ্ট করা। অথচ আল্লাহ যতখানি প্রশস্ততা দিছেন, আত্মসমর্পণের মানসে তা কবুল করা লাগবে এবং তাতে বাদ সাধা যাবে না। কারণ তা নিজেদের ওপর অহেতুক কষ্ট আরোপ, যেমনটা বনি ইসরাইল করছিল গাভি জবাইয়ের মামলায়। এরশাদ হইতেছে :

হে মুমিনগণ! তোমরা সেইসব বিষয়ে প্রশ্ন কইরো না যা তোমাদের কাছে প্রকাশ করা হইলে তা তোমাদের কষ্ট দিবে। আর কুরআন নাজিল হইতেছে এমন জামানায় তোমরা যদি সেইসব বিষয়ে প্রশ্ন করো তাহলে তা তোমাদের কাছে প্রকাশ করা হবে। আল্লাহ সেইসব ক্ষমা করছেন [যা অতীতে জিজ্ঞাসা করা হইছে]। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম সহনশীল। [৫: ১০১] 

বিজ্ঞাপন

Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

স্বত্ব © ২০২৩, যোগাযোগ | ই মেইল : jogajogbd.org@gmail.com

যোগাযোগ-এ প্রকাশিত কোনো লেখা, ছবি কিংবা শিল্পকর্ম লেখক অথবা কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা অবৈধ৷