ছোটবেলা থেকেই আর্টের প্রতি বিশেষ ঝোঁক। pencil colour, oil pastel ইত্যাদি দিয়েই টুকিটাকি আর্ট করা হতো। ছোট ছোট কাগজে বিভিন্ন দৃশ্য এঁকে দেয়ালে টানিয়ে রাখতাম৷ মাদ্রাসায় অনুষ্ঠান হলে টুকটাক আর্টের জন্য আমাকেই ডাকা হতো। তখন পর্যন্ত ক্যালিগ্রাফি সম্পর্কে কোনো ধারণাই ছিল না।
২০১৮ সালে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুললে সৌভাগ্যবশত কয়েকজন আর্টিস্টের সাথে অ্যাড হই। তাদের মাধ্যমে জানতে পারি ক্যালিগ্রাফি সম্পর্কে। মফস্বল শহরে থাকায় কখনো কোর্সের সুযোগ হয়নি। ক্লাস বাদ দিয়ে ঢাকায় গিয়ে কোর্স করার পক্ষেও ছিলাম না। তখন মাহবুব মুর্শিদ স্যারের ৫ম কর্মশালা চলছে। একজন সিনিয়র আপু ক্লাসের কিছু লাইভ করেছিলেন৷
সেখান থেকে ধারণা পেলাম। এরপর শহরের বিভিন্ন দোকান–লাইব্রেরি ঘুরে ঘুরে কিনেছিলাম কিছু রং। আমার এতদূর শেখার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান আব্বু–আম্মুর৷ ময়মনসিংহ শহরে যখন ক্যানভাস কী জিনিস মানুষ চিনত না সে সময় আব্বু ঢাকা থেকে কোনো এক মাধ্যমে আমাকে রং–ক্যানভাস কিনে দিয়েছিলেন। ফেসবুক–ইউটিউবে কিছু ভিডিও দেখেই আমার পথচলা শুরু। নিজেই নিজেকে শিখিয়ে চলেছি গত ৫টি বছর। এরই মাঝে তিনটি প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করার সুযোগ হয়েছে। মোট ৪টি কাজ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে প্রদর্শিত হয়েছে। ক্যালিগ্রাফির মাধ্যমে শুরু হলেও পরবর্তী সময় জলরঙের পেইন্টিং, থ্রীডি আর্ট, রিয়েলাস্টিক আর্ট করা হয়েছে। পেইন্টিংকে শখ হিসেবে করলেও রিসেন্টলি আমার বেশ কিছু কাজ সেল হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। কা‘বা থিমে একটি পেইন্টিং করেছি, যেটি বেশ সাড়া পায়। ভবিষ্যতে কোর্স করে আরও দক্ষতার সাথে কাজ করার ইচ্ছে আছে৷
—আদীবা বিনতে আমীর
Amazing work💐💐
বাহ! আমাদের ছোট্ট আদিবা এখন বড় আর্টিস্ট হওয়ার পথে। শুভকামনা।